পপ সংস্কৃতির এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, যিনি তাঁর ব্যতিক্রমী শৈলী এবং হাস্যরসের মাধ্যমে শিশুদের মনে গেঁথে ছিলেন, তিনি হলেন পল রুবেন্স। তাঁর সৃষ্টি, ‘পি-উই হারম্যান’ চরিত্রটি একসময় বিশ্বজুড়ে শিশুদের কাছে বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে।
এবার সেই শিল্পী পল রুবেন্সের জীবন এবং কর্ম নিয়ে নির্মিত হয়েছে একটি নতুন তথ্যচিত্র, যার নাম ‘পি-উই অ্যাজ হিমসেলফ’। এইচবিও-তে প্রচারিত এই তথ্যচিত্রটি নির্মাণ করেছেন পরিচালক ম্যাট উলফ।
এখানে পল রুবেন্সের জীবনের নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে, যা দর্শকদের জন্য নিঃসন্দেহে এক আকর্ষণীয় অভিজ্ঞতা হতে চলেছে। তথ্যচিত্রে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে পি-উই হারম্যান চরিত্রটির জন্ম এবং তার জনপ্রিয়তা প্রসঙ্গে। সেই সঙ্গে উঠে এসেছে রুবেন্সের ব্যক্তিগত জীবন, তাঁর সংগ্রাম এবং সমাজের চোখে তাঁর স্থান নিয়ে বিভিন্ন ঘটনা।
এই তথ্যচিত্রের অন্যতম আকর্ষণ হল পরিচালক এবং পল রুবেন্সের মধ্যেকার সম্পর্ক। রুবেন্স চেয়েছিলেন, তাঁর জীবনের গল্প তিনি নিজেই বলবেন। পরিচালক ম্যাট উলফও চেয়েছিলেন, এই কাজটি গভীরতা এবং সততার সঙ্গে করতে।
ফলে, ছবি তৈরির সময় তাঁদের মধ্যে মতের অমিলও হয়েছে, যা এই ডকুমেন্টারির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। শুটিংয়ের সময় তাঁদের মধ্যে ৪০ ঘণ্টার বেশি কথোপকথন হয়েছে, যা দর্শকদের জন্য পল রুবেন্সকে আরও ভালোভাবে জানার সুযোগ করে দেবে।
পি-উই হারম্যানের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে পল রুবেন্স শিশুদের কাছে পরিচিত হলেও, তাঁর ব্যক্তিগত জীবন ছিল বেশ জটিল। এই তথ্যচিত্রে তাঁর জীবনের সেই দিকগুলোও উন্মোচন করা হয়েছে, যা আগে অনেকের কাছে অজানা ছিল।
রুবেন্সের সমকামিতা এবং তাঁর জীবনের নানা উত্থান-পতন এই তথ্যচিত্রে স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
২০২৩ সালে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে পল রুবেন্সের প্রয়াণ হয়। এই দুঃখজনক ঘটনার কিছুদিন পরেই তথ্যচিত্রটির নির্মাণকাজ শেষ হয়।
এই ছবিতে রুবেন্সের জীবন এবং কর্মের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। যারা পি-উই হারম্যানকে ভালোবাসেন, তাঁদের জন্য এই তথ্যচিত্রটি এক বিশেষ উপহার হতে চলেছে। এটি রুবেন্সের সৃষ্টিশীলতা, তাঁর সাহস এবং সমাজের চোখে তাঁর স্থান সম্পর্কে নতুন ধারণা দেবে।
তথ্যসূত্র: The Guardian