** controversail “tush push” play is not being banned in the NFL**
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জনপ্রিয় আমেরিকান ফুটবল লীগ, ন্যাশনাল ফুটবল লীগ (এনএফএল)-এর মালিকরা একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা বহুল বিতর্কিত ‘টাশ পুশ’ নামক খেলার কৌশলটি নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন।
এই সিদ্ধান্তের ফলে আসন্ন এনএফএল মৌসুমেও খেলাটি বহাল থাকছে।
‘টাশ পুশ’ মূলত একটি বিশেষ কৌশল, যেখানে অল্প দূরত্বের জন্য কোয়ার্টারব্যাককে (দলের প্রধান খেলোয়াড়, যিনি বল ছুঁড়েন) তার সতীর্থরা পেছন থেকে ধাক্কা দেন, যাতে তিনি সামান্য কয়েক গজ এগিয়ে যেতে পারেন।
এটি অনেকটা রাগবি খেলার স্ক্রামের মতো। ফিলাডেলফিয়া ঈগলস নামক একটি দল এই কৌশলটির সফল ব্যবহারের মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করেছে।
তারা প্রায়ই এই কৌশলের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জন করেছে। এই সাফল্যের কারণে, অন্য দলগুলোও এই কৌশলটি অনুসরণ করতে চেষ্টা করেছে, যদিও ঈগলসের মতো সাফল্য পায়নি।
এই খেলার কৌশলটি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, কারণ অনেকে মনে করেন এটি খেলার স্বাভাবিক সৌন্দর্য্য কমিয়ে দেয়।
তাদের মতে, এতে খেলোয়াড়দের দক্ষতার পরিবর্তে শক্তির ব্যবহার বেশি হয়, যা খেলার আকর্ষণ হ্রাস করে। তাছাড়া, খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ ছিল, কারণ এতে খেলোয়াড়দের খুব কাছাকাছি থেকে ধাক্কাধাক্কি করতে হয়।
গ্রিন বে প্যাকার্স নামক একটি দল এই কৌশলটি নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব এনেছিল।
তাদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক মারফি এই কৌশলটিকে ‘খেলার জন্য খারাপ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
তার মতে, এতে কোনো দক্ষতার প্রয়োজন হয় না এবং এক গজের কম দূরত্বের জন্য প্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রথম ডাউন পাওয়া যায়।
তিনি ঐতিহ্যবাহী ‘কোয়ার্টারব্যাক স্নীক’-এর (quarterback sneak) পক্ষে মত দেন, যা বার্ট স্টার এবং ১৯৬৭ সালের ‘আইস বাউলে’ প্যাকার্সের জন্য ভালো ফল এনেছিল।
তবে, প্রস্তাবটি বাতিল করতে হলে এনএফএল-এর ৩২ জন মালিকের মধ্যে ৭৫ শতাংশের সমর্থন প্রয়োজন ছিল, অর্থাৎ ২৪ জনের ভোট দরকার ছিল।
কিন্তু পর্যাপ্ত সমর্থন না পাওয়ায় প্রস্তাবটি পাশ হয়নি।
প্রস্তাবটি সমর্থনকারীদের মধ্যে গ্রিন বে প্যাকার্স ছাড়াও আরো কিছু দল ছিল।
তবে, ফিলাডেলফিয়া ঈগলসের সাবেক খেলোয়াড় জেসন কেলসি এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে সমর্থন আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি সরাসরি মিনেসোটায় গিয়ে মালিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
এই সিদ্ধান্তের ফলে আসন্ন এনএফএল মৌসুমে ‘টাশ পুশ’ খেলার কৌশলটি বহাল থাকছে।
এখন দেখার বিষয়, দলগুলো এই কৌশলকে কিভাবে কাজে লাগায় এবং এটি খেলার ফলাফলে কতটা প্রভাব ফেলে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন