বিছানায় কান্নার পর লিজ্জোর আবেগঘন বার্তা: ‘আমি এখনো আছি, আপনিও’

বিখ্যাত মার্কিন শিল্পী লিজ্জো সম্প্রতি তার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছেন, যা এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। শিল্পী তার অনুসারীদের উদ্দেশ্যে জানিয়েছেন যে, সবার জীবনেই খারাপ সময় আসে এবং হতাশ বোধ করাটা খুবই স্বাভাবিক।

লিজ্জো, যিনি তার গানের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে পরিচিত, বুধবার তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টে নিজের মানসিক অবস্থার কথা তুলে ধরেন। তিনি লেখেন, “কষ্টগুলো আমারও হয়, তোমাদেরও হয়।”

এই পোস্টের সাথে নিজের একটি ছবিও যুক্ত করেন, যেখানে তাকে একটি টি-শার্ট পরে হাসতে দেখা যায়, যাতে লেখা ছিল “God’s sexiest soldier”। তিনি আরও জানান, সেদিন তিনি “বিছানায় বসে কাঁদছিলেন”, এবং তার “ওয়ার্কআউট” বাতিল করতে হয়েছিল।

তিনি স্বীকার করেন যে, মাঝে মাঝে সবকিছু তার কাছে অসহ্য মনে হয়।

লিজ্জো তার পোস্টে আরও উল্লেখ করেন, “আমি তাদের প্রতি সহানুভূতি জানাই যারা নিজেদেরকে পাগল মনে করে… যারা মনে করে তারা যথেষ্ট ভালো নয়… যারা মনে করে তারা ব্যর্থ হয়েছে… আমি তোমাদের অনুভব করতে পারি।” তিনি তার অনুসারীদেরকে এই কঠিন সময়েও সাহস জুগিয়ে বলেন, “আমি এখনও এখানে আছি, এবং তোমরাও আছো।”

লিজ্জোর এই পোস্টে তার ভক্তরা তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। অনেকেই মন্তব্য করেছেন যে, লিজ্জোর এই ধরনের আলোচনা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সহায়ক।

একজন ভক্ত লিখেছেন, “যদি কোনোদিন লিজ্জোর সঙ্গে দেখা হয়, তাহলে তাকে সবচেয়ে বড় একটা আলিঙ্গন করব।” অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, “তোমার এই সততা অনেককে সাহায্য করে, যারা একই রকম অনুভব করে। ধন্যবাদ।”

শুধু তাই নয়, লিজ্জো আগেও তার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলেছেন। এর আগে, তিনি একটি ভিডিওতে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে লিখেছিলেন, “আজ আমার খারাপ অবস্থা হয়েছিল, কিন্তু এবার আমি সেটা ইন্টারনেটে প্রকাশ করিনি… তোমরা কি জানো, এটাকে কী বলে? উন্নতি।”

লিজ্জো তার জন্মদিনে নিজের শক্তি নিয়ে কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “আমি কঠিন একজন মানুষ। আমি সারা জীবন কেঁদে বাঁচতে চেয়েছি এবং দুর্বল হিসেবে পরিচিত হতে চাইনি। আমার জন্মদিনের আগে অনেক দুশ্চিন্তা ছিল এবং আমি তা অনুভব করতে পারছিলাম।”

লিজ্জো আরও জানান, জন্মদিনের অনুষ্ঠানের আগে তিনি “ভীত” ছিলেন এবং “লোকেরা ভালো সময় কাটাচ্ছে কিনা” তা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন।

কিন্তু হঠাৎ তিনি দেখেন তার মা, ভাইবোন এবং বন্ধু তার পাশে বসে হাসিমুখে গল্প করছে। সেই মুহূর্তে তিনি “কেঁদে ফেলেছিলেন”।

তিনি বলেন, “আমি খুব খুশি হয়েছিলাম, কারণ সেই মুহূর্তে আমার যা দরকার ছিল, তার সবই আমার কাছে ছিল।” মানসিক স্বাস্থ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, এবং লিজ্জোর এই ধরনের আলোচনা নিঃসন্দেহে অনেকের জন্য সহায়ক হবে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *