বিয়ে বাড়ির একটি আনন্দের মুহূর্তে ঘটে যাওয়া অপ্রত্যাশিত এক ঘটনার কথা সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনা সৃষ্টি করেছে। ঘটনাটি এমন—নববিবাহিত এক বর তার কনেকে কেক খাওয়ানোর সময় এমনভাবে তা করেন যে, কনের মুখে কাঁটা চামচ বিঁধে যায় এবং তিনি আহত হন।
বিয়ের কয়েক মাস পরেই তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে।
ঘটনাটি বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছেন একজন প্রত্যক্ষদর্শী, যিনি রেডডিটে এই বিষয়ে একটি পোস্ট করেন। তিনি জানান, গত গ্রীষ্মে তার মায়ের ছোটবেলার এক বান্ধবীর মেয়ের বিয়েতে এই ঘটনা ঘটেছিল।
বর যখন কনেকে কেক খাওয়াতে যান, তখন অসাবধানতাবশত কাঁটা চামচ কনের ঠোঁটে লাগে এবং সামান্য কেটে যায়। এতে কনে বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন।
বিয়ের প্রায় ১১ মাসের মাথায় তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়।
পশ্চিমা সংস্কৃতিতে বিয়ের অনুষ্ঠানে কেক কাটার পর বর-কনে একে অপরের মুখে কেক মাখিয়ে দেওয়ার একটি রীতি প্রচলিত আছে। অনেকে মনে করেন, এটি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।
তবে এই ঘটনার পরে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, কনের সম্মতিতে এমনটা করা উচিত কিনা। কারণ, কনেকে সাজতে অনেক সময় ও অর্থ খরচ করতে হয়।
রেডডিটের ওই পোস্টে অনেকে তাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। তাদের মতে, বিয়ের সময় এমন কিছু করা উচিত নয় যা কনেকে বিব্রত করে।
একজন মন্তব্যকারী জানান, তিনি এবং তার স্বামী কেক মাখানো নিয়ে আগে আলোচনা করেছিলেন, কিন্তু বিয়ের দিন তিনি (স্বামী) তা করেননি। সেই ঘটনা ভবিষ্যতে তাদের সম্পর্কের অবনতির একটি ইঙ্গিত ছিল।
আরেকজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, দাম্পত্য জীবনে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনা করা জরুরি। তাদের মতে, বিয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুষ্ঠানে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সম্মতির গুরুত্ব অপরিসীম।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিবাহিত জীবনে একে অপরের প্রতি সম্মান ও ভালো বোঝাপড়া থাকাটা খুবই জরুরি। অনেক সময় সামান্য একটি ঘটনাও বড় ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে, যা হয়তো বিচ্ছেদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
তাই, যেকোনো কাজ করার আগে সঙ্গীর অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত।
তথ্য সূত্র: পিপল