ভাড়া বাড়ির সৌন্দর্য বাড়াতে চান? এই ৯টি উপায় দেখুন!

ভাড়ার বাসায় ঘর সাজানোর উপায়: কম খরচে রুচিশীল পরিবর্তন

ভাড়া বাড়িতে বসবাস করা অনেকের কাছেই একটি সাধারণ অভিজ্ঞতা। প্রায়ই দেখা যায়, বাড়ির মালিকের রুচি অনুযায়ী ঘর সাজানো হয়েছে, যা হয়তো আপনার পছন্দ নাও হতে পারে। দেয়ালের রং, পুরনো কার্পেট অথবা আসবাবপত্রের ডিজাইন—এসব ক্ষেত্রে অনেক সময় নিজের পছন্দ অনুযায়ী পরিবর্তন করার সুযোগ থাকে না।

কিন্তু মন খারাপ করার কিছু নেই! সামান্য কিছু কৌশল জানা থাকলে, অল্প খরচেও ভাড়া বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা সম্ভব।

নিজের রুচি অনুযায়ী ঘর সাজানোর ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে। যেহেতু এটি ভাড়া বাসা, তাই এমন পরিবর্তন আনাই ভালো যা সহজে সরানো বা পরিবর্তন করা যায়। এতে করে বাড়ির মালিকের অনুমতির প্রয়োজন হয় না এবং আপনি যখন বাসা পরিবর্তন করবেন, তখন আপনার জিনিসপত্রও সঙ্গে নিতে পারবেন।

আসুন, এমন কিছু উপায় জেনে নেই যা আপনার ভাড়ার বাসাকে দেবে নতুন রূপ, কিন্তু আপনার জামানতও সুরক্ষিত থাকবে:

১. আলমারি ও দরজার হাতল পরিবর্তন:

ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সবচেয়ে সহজ এবং সাশ্রয়ী উপায় হলো আলমারি বা দরজার হাতল পরিবর্তন করা।

কিচেন ক্যাবিনেট, ওয়ার্ডরোব, বেডসাইড টেবিল এমনকি সাধারণ ড্রয়ারের হাতলও পরিবর্তন করতে পারেন। বাজারে বিভিন্ন ধরনের হাতল পাওয়া যায়।

পুরনো হাতলগুলো সরিয়ে, নতুন লাগানোর পর সেগুলো সাবধানে তুলে রাখুন। বাসা ছাড়ার সময় পুরনো হাতল লাগিয়ে দিতে পারবেন।

২. স্টিকার টাইলস ব্যবহার করুন:

রান্নাঘর বা বাথরুমের পুরোনো টাইলস বদলে ফেলতে স্টিকার টাইলস একটি চমৎকার সমাধান।

এগুলো সহজে লাগানো যায় এবং পরিষ্কার করা সহজ। বাজারে বিভিন্ন ডিজাইন ও আকারের স্টিকার টাইলস পাওয়া যায়।

বাথরুমের জন্য জলরোধী টাইলস বেছে নেওয়া ভালো।

৩. রিমুভেবল ওয়াল হুক:

দেয়ালে পেরেক বা স্ক্রু লাগানোর ঝামেলা এড়িয়ে চলুন।

রিমুভেবল ওয়াল হুক ব্যবহার করে ছবি, ক্যালেন্ডার বা অন্যান্য হালকা জিনিস সহজেই টাঙানো যায়। বাজারে বিভিন্ন ধরনের আঠা-যুক্ত হুক পাওয়া যায়, যা দেয়ালের ক্ষতি করে না।

৪. কর্ডলেস ওয়াল লাইট:

ঘরের আলো পরিবর্তনের জন্য কর্ডলেস ওয়াল লাইট ব্যবহার করতে পারেন।

এগুলো ব্যাটারি দিয়ে চলে, তাই তারের সংযোগের প্রয়োজন হয় না। রাতের বেলা হালকা আলো দেওয়ার জন্য এগুলো দারুণ।

৫. ফ্রি-স্ট্যান্ডিং বুকশেলফ:

বই বা অন্যান্য জিনিসপত্র রাখার জন্য দেয়ালের সাথে লাগানো বুকশেলফের বদলে ফ্রি-স্ট্যান্ডিং বুকশেলফ ব্যবহার করতে পারেন।

এটি একদিকে যেমন অতিরিক্ত স্টোরেজ স্পেস তৈরি করে, তেমনই ঘরকে একটি আলাদা রূপ দেয়।

৬. রঙিন কার্পেট, কুশন ও পর্দা:

ঘরের পরিবেশ পরিবর্তন করতে কার্পেট, কুশন এবং পর্দা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

পুরনো কার্পেটের ওপর একটি সুন্দর কার্পেট বিছিয়ে দিতে পারেন। এছাড়া, কুশন এবং পর্দা পরিবর্তন করে ঘরের সাজসজ্জায় ভিন্নতা আনা যায়।

৭. স্টিকার সার্ফেস ব্যবহার করুন:

রান্নাঘরের কাউন্টারটপ বা আলমারির দরজার সৌন্দর্য বাড়াতে স্টিকার সার্ফেস ব্যবহার করতে পারেন।

বাজারে কাঠ, মার্বেল বা বিভিন্ন ধরনের নকশার স্টিকার পাওয়া যায়।

৮. পিল-এন্ড-স্টিক ওয়ালপেপার:

দেয়ালে নতুনত্ব আনতে পিল-এন্ড-স্টিক ওয়ালপেপার ব্যবহার করতে পারেন।

বিভিন্ন ডিজাইন ও রঙের ওয়ালপেপার পাওয়া যায়।

৯. রিমুভেবল স্টেইনড গ্লাস:

জানালা বা দরজার কাঁচের অংশে গোপনীয়তা বাড়াতে রিমুভেবল স্টেইনড গ্লাস ব্যবহার করতে পারেন।

এটি ঘরের সৌন্দর্য বাড়াতেও সাহায্য করে।

উপরে উল্লেখিত উপায়গুলো অনুসরণ করে, আপনি আপনার ভাড়ার বাসাকে খুব সহজেই নিজের মনের মতো করে সাজিয়ে নিতে পারেন।

ঘর সাজানোর এই টিপসগুলো একদিকে যেমন সাশ্রয়ী, তেমনি আপনার রুচির প্রতিফলন ঘটাতে সহায়ক।

তথ্য সূত্র: The Guardian

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *