মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরকানসাস অঙ্গরাজ্যের এক শিক্ষিকা, যিনি একটি চার্চের সাথেও জড়িত ছিলেন, ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। ঘটনার বিচারে তিনি দোষ স্বীকার করেননি, তবে আদালতের রায়ে তাকে যৌন নিপীড়নের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
আদালতের নথি অনুযায়ী, রেগান ড্যানিয়েল গ্রে নামের ওই শিক্ষিকা ২০২০ সাল থেকে ২০২১ সালের গ্রীষ্মকাল পর্যন্ত ওই কিশোরকে যৌন নির্যাতন করেন। অভিযুক্ত নারী ঘটনার সময় সিলভান হিলস মিডল স্কুলে শিক্ষকতা করতেন এবং ইমানুয়েল ব্যাপটিস্ট চার্চের ছাত্র মন্ত্রণালয়ে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতেন।
জানা গেছে, নির্যাতিত কিশোরও ওই চার্চের ছাত্র মন্ত্রণালয়ের সদস্য ছিলেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, শুরুতে গ্রে-এর বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের প্রথম এবং চতুর্থ ডিগ্রি ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছিল। তবে পরে প্রসিকিউটররা দ্বিতীয় ডিগ্রিতে রাজি হন।
এর ফলস্বরূপ, গ্রে-কে ছয় বছরের প্রোবেশন এবং ১,০০০ মার্কিন ডলার জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও, তাকে যৌন অপরাধীর রেজিস্টারে নাম লেখাতে হবে, ডিএনএ নমুনা দিতে হবে এবং নির্যাতিতের সঙ্গে কোনো প্রকার যোগাযোগ রাখা যাবে না।
শোনা যায়, ২০২০ সালে ওই কিশোরের অভিভাবকদের নজরে গ্রে এবং কিশোরের মধ্যেকার কিছু বার্তা আসে। এরপর তাদের মধ্যেকার সম্পর্ক নিয়ে আপত্তি জানানো হয়।
অভিভাবকদের আপত্তির পর গ্রে-কে ছাত্র মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং কাউন্সেলিং করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এরপরও তাদের মধ্যে স্ন্যাপচ্যাটের মাধ্যমে যোগাযোগ অব্যাহত ছিল।
আদালতের নথি আরও জানাচ্ছে, গ্রে কাউন্সেলিংয়ের সময় স্বীকার করেন যে কিশোরের সঙ্গে তার সম্পর্ক ‘যৌন প্রকৃতির’ ছিল। এই ঘটনার জেরে গত বছর এপ্রিল মাসে ইমানুয়েল ব্যাপটিস্ট চার্চের ফাস্টর স্মিথ পদত্যাগ করেন।
এই ঘটনার পরে, গ্রে-কে ফেব্রুয়ারী মাস থেকে সিলভান হিলস মিডল স্কুলের শিক্ষকতার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
তথ্য সূত্র: পিপলস