বন্ধু বাবার নিষ্ঠুরতা: চার বছরের ছেলের জন্য কি হবে?

আমার বন্ধু, যিনি সম্প্রতি পিতৃত্বের স্বাদ গ্রহণ করেছেন, তার আচরণে আমি বেশ উদ্বিগ্ন। তিনি তার চার বছরের ছেলের প্রতি প্রায়ই অসহিষ্ণু এবং কঠোর ব্যবহার করেন। উদ্বেগের কারণে তিনি মানসিক অস্থিরতায় ভোগেন, মাঝে মাঝে মদ্যপান করেন এবং ছেলের মায়ের সঙ্গে তার সম্পর্কটাও ভালো নয়।

আমার মনে হয় তিনি কিছুতেই তার সন্তানের ভালো দিকগুলো দেখতে পান না। আমি তাকে তার মানসিক স্বাস্থ্য এবং উদ্বেগের চিকিৎসার জন্য পরামর্শ দিয়েছি, কিন্তু তিনি সেদিকে মনোযোগ দেননি।

তারা আলাদা হওয়ার পরেও একসঙ্গে থাকছেন, সম্ভবত আর্থিক কারণে। আমার মনে হয়, ঘুমের অভাব এবং সন্তানের প্রতি অবিরাম মনোযোগ দেওয়ার কারণে তার একাকী থাকার এবং মানসিক শান্তির সময়টুকুও নেই।

তিনি নিজেকে একটা ফাঁদে বন্দি মনে করেন, যার ফলস্বরূপ তার মানসিক স্বাস্থ্য এবং পিতৃত্ব দুটোই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমি বুঝতে পারছি না, কীভাবে তাকে সাহায্য করব।

একজন বন্ধু হিসেবে, আমি তার ছেলের প্রতি তার এমন আচরণ দেখে খুব হতাশ হই। আমার নিজের সন্তান আছে, তাদের আমি ভালোবাসি, কিন্তু মাঝে মাঝে মনে হয়, কেন যে বাবা হলাম! এমন একটি পরিস্থিতি কিভাবে সামলানো যায়?

বিষয়টি নিয়ে যখন আমি বিস্তারিতভাবে জানতে চাইলাম, তখন একজন অভিজ্ঞ পরামর্শদাতা কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। তিনি জানান, অনেক সময় মানুষ জানে যে সমস্যা আছে, কিন্তু সমাধানের চেষ্টা করে না।

এক্ষেত্রে, সম্ভবত বন্ধুটি তার সমস্যার গভীরতা উপলব্ধি করতে পারছে না। হয়তো তিনি জানেন যে তিনি অতিরিক্ত মদ্যপান করেন এবং ছেলের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন, কিন্তু অন্যদের সঙ্গে তুলনা করে হয়তো মনে করেন, সবার জীবনেই এমনটা হয়।

সমস্যাগুলো সমাধানে না নামার আরও কিছু কারণ থাকতে পারে। হয়তো তিনি ভাবেন, সময় সব ঠিক করে দেবে। অথবা, তিনি সম্ভবত জানেন না কীভাবে পরিস্থিতি বদলাতে হয়।

এমন পরিস্থিতিতে, সরাসরি কথা বলা কঠিন হতে পারে। কারণ এতে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে, যদি কিছু বলার সিদ্ধান্ত নেন, তবে তা স্পষ্টভাবে বলাই ভালো।

যদি সরাসরি কথা বলতে দ্বিধা বোধ করেন, তাহলে অন্য একটি কৌশল অবলম্বন করা যেতে পারে। যেমন, ছেলের এবং মায়ের প্রতি সহানুভূতি দেখানো যেতে পারে। তাদের সঙ্গে কিছু সাধারণ কাজ করা, একসঙ্গে খেলা করা, অথবা তাদের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয় তৈরি করা যেতে পারে।

এর মাধ্যমে, আপনি ইতিবাচক সম্পর্কের একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেন। যদি আপনার পরিচিত কেউ এমন পরিস্থিতির শিকার হন, তাহলে তাদের জন্য কিছু সহায়ক যোগাযোগের ঠিকানা নিচে দেওয়া হলো:

  • বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সহায়তা পেতে: (অনুগ্রহ করে নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে সঠিক নম্বর সংগ্রহ করুন)।
  • মাদকাসক্তি বিষয়ক পরামর্শ ও সহায়তা কেন্দ্র: (অনুগ্রহ করে নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে সঠিক নম্বর সংগ্রহ করুন)।
  • পিতা-মাতাদের জন্য সহায়তা গোষ্ঠী: (অনুগ্রহ করে নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে সঠিক নম্বর সংগ্রহ করুন)।

মনে রাখতে হবে, মানসিক স্বাস্থ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং এর জন্য সাহায্য চাওয়া যেতে পারে। আপনি একা নন।

তথ্যসূত্র: The Guardian

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *