সেলিব্রিটি শেফ এবং অভিনেত্রী ভ্যালেরি বারটিনেলি সম্প্রতি নিজের আত্ম-অনুসন্ধানের এক গুরুত্বপূর্ণ দিক উন্মোচন করেছেন। জীবনের কঠিন কিছু মাস পার করার পর, তিনি সামাজিক মাধ্যমে নিজের অনুভূতির কথা প্রকাশ করেছেন এবং কিভাবে সমালোচনার মোকাবেলা করেন, সেই বিষয়ে আলোকপাত করেছেন।
বারটিনেলি তাঁর এই যাত্রাপথে, নিজের ভালো লাগা এবং আত্ম-সম্মানকে সবার উপরে স্থান দিয়েছেন। তিনি মনে করেন, সবার তাকে ভালো নাও লাগতে পারে, কিন্তু তাতে তাঁর কিছু যায় আসে না।
বরং, নিজের প্রতি ভালো লাগাটাই তাঁর কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে, যেখানে ব্যক্তিগত জীবনও জনসমক্ষে উন্মুক্ত, সেখানে নেতিবাচক মন্তব্য এবং সমালোচনার মুখোমুখি হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। বারটিনেলি তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে দেখিয়েছেন, কিভাবে এই ধরনের পরিস্থিতিতে নিজেকে সামলে নিতে হয়।
তাঁর মতে, যারা নিজেদের দুর্বলতা নিয়ে কথা বলেন, তাঁদেরকে অনেকেই ভুল বোঝে। কেউ হয়তো মনে করেন, তাঁরা বেশি কাঁদেন, আবার কেউ অতীতের কথা বেশি মনে করেন।
বারটিনেলি স্পষ্ট করে বলেছেন, এসব সমালোচনার ঊর্ধ্বে উঠে নিজের ভালো থাকাটাই আসল।
বারটিনেলি তাঁর বাবার একটি কথা উল্লেখ করেছেন, যেখানে তাঁকে সবার কাছে “প্রিয়” হওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু বারটিনেলি এখন উপলব্ধি করেছেন, সবার প্রিয় হওয়া সম্ভব নয়।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, নিজেকে ভালোবাসা এবং নিজের প্রতি সৎ থাকা।
নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বারটিনেলি জানিয়েছেন, জীবনে ভালো মানুষ এবং ভালোবাসার মানুষের সান্নিধ্য তাঁর কাছে অত্যন্ত মূল্যবান। তিনি নিজেকে একজন ভালো মানুষ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যিনি অন্যদের প্রতি সদয় এবং সহানুভূতিশীল।
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, প্রতিকূলতা মোকাবেলা করার ক্ষমতা তাঁর আছে এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে চেষ্টা করেন।
সোশ্যাল মিডিয়ার এই যুগে, নেতিবাচক মন্তব্য এবং হয়রানি থেকে বাঁচতে বারটিনেলি একটি সহজ উপায় বাতলেছেন—ব্লক বাটন ব্যবহার করা। তিনি মনে করেন, বাস্তব জীবনেও এই পদ্ধতি কার্যকরী।
বারটিনেলির এই পোস্টের মূল উদ্দেশ্য ছিল, অন্যদেরও একই পথে উৎসাহিত করা। তিনি বলেছেন, আত্ম-অনুসন্ধান এবং নিজের দুর্বলতাগুলো নিয়ে কাজ করাটা সহজ নয়, এর জন্য প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রম, এবং প্রয়োজনে সাহায্য নেওয়া।
নিজের ভেতরের “অন্ধকার দিক” গুলোকে আলিঙ্গন করার কথা বলেছেন তিনি, কারণ তাঁর মতে, এই “অন্ধকার” আমাদের শক্তিশালী করে তোলে।
বারটিনেলি তাঁর অনুসারীদের মনে করিয়ে দিয়েছেন, একইসাথে দুটি ভিন্ন সত্তা ধারণ করাটা কোনো দুর্বলতা নয়, বরং এটি আমাদের “আরো শক্তিশালী” করে তোলে। তিনি ড্রু ব্যারিমোরের একটি ইন্সটাগ্রাম রিলের কথা উল্লেখ করেছেন, যেখানে ব্যারিমোর অন্যকে বিচার করার মানসিকতাকে “প্রপাগান্ডা” হিসেবে অভিহিত করেছেন।
বারটিনেলি আরও একটি উক্তি শেয়ার করেছেন, যেখানে বলা হয়েছে, “অন্যের ভালো দিক দেখার চেয়ে বরং তাদের কাজের সত্যতা দেখা উচিত।
তথ্যসূত্র: পিপল