ফের বিতর্কে ট্রাম্প প্রশাসন! ভুল সিদ্ধান্তের শিকার আশ্রয়প্রার্থীকে ফেরাতে নির্দেশ

যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত, অভিবাসন কর্তৃপক্ষের ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হয়ে গুয়াতেমালার এক ব্যক্তিকে দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। জানা গেছে, ঐ ব্যক্তি রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছিলেন এবং ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে তাকে ভুলভাবে ফেরত পাঠানো হয়।

আদালতের রায়ে, কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপকে ন্যায়বিচারের পরিপন্থী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

আদালতের নথি অনুযায়ী, ‘ও.সি.জি.’ নামের ঐ ব্যক্তি, যিনি নিজের জীবনকে হুমকির মুখে অনুভব করছিলেন, ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন। গুয়াতেমালায় সহিংসতার শিকার হওয়ার পাশাপাশি মেক্সিকোতে অপহরণ ও ধর্ষণের শিকার হওয়ার কথাও তিনি আদালতকে জানিয়েছিলেন।

কিন্তু এরপরও তাকে প্রথমে মেক্সিকো এবং পরে গুয়াতেমালায় ফেরত পাঠানো হয়।

আদালতের বিচারক ব্রায়ান মারফি তার রায়ে বলেছেন, “ও.সি.জি.-কে মেক্সিকোতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত সম্ভবত যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নেওয়া হয়নি। তার আশ্রয়ের আবেদন বিবেচনা না করেই তাড়াহুড়ো করে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।”

বিচারক আরও উল্লেখ করেন, “আশ্চর্যজনকভাবে, ও.সি.জি. কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করেন, এমনটা কেউ কখনোই বলেনি। একজন ব্যক্তিকে ভুল করে একটি বাসে তুলে এমন একটি দেশে ফেরত পাঠানো হলো, যেখানে তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এবং তাকে অপহরণ করা হয়েছিল।”

এই ঘটনার কয়েকদিন আগে, আদালত প্রাক্তন ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি নির্দেশ দেয়, ভুলভাবে এল সালভাদরে ফেরত পাঠানো এক ভেনেজুয়েলার নাগরিককে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। ‘ক্রিস্টিয়ান’ নামের ঐ ব্যক্তিকেও মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে ‘এলিয়েন এনিমিজ অ্যাক্ট’-এর আওতায় ফেরত পাঠানো হয়।

এই আইনটি মূলত যুদ্ধকালীন সময়ে প্রয়োগ করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল।

আদালতের শুনানিতে বিচারক স্টেফানি গ্যালাঘের জানান, কর্মকর্তাদের নির্দেশ সত্ত্বেও, ক্রিস্টিয়ানকে এল সালভাদরের কারাগার থেকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে তারা কার্যত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

আরেকটি ঘটনায়, ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে, ভুল করে মার্চ মাসে ফেরত পাঠানো কিলমার অ্যাব্রেগো গার্সিয়া নামের এক ব্যক্তির প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক পাওলা জেনিস।

বিচার বিভাগের অসহযোগিতার কারণে, গার্সিয়াকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া এখনও সম্পন্ন করা যায়নি।

তথ্য সূত্র: সিএনএন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *