বিত্তবান বন্ধু ও আত্মীয়দের আশ্রয় দিতে গিয়ে এক দম্পতির নাজেহাল অবস্থা। বিশাল বাড়িতে থাকার সুবাদে অনেকেই এখন তাদের বাড়িতে থাকতে চাইছে। সম্প্রতি, এমন একটি ঘটনার কথা জানা গেছে যেখানে নিজেদের বাড়িতে আশ্রয় দিতে গিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার হওয়া এক দম্পতি এখন পরিবার ও বন্ধুদের আবদার সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি সুন্দর এলাকায় ৪,২০০ বর্গফুটের একটি বাড়িতে বসবাস করেন এই দম্পতি। তাদের মতে, এটি তাদের “আনন্দের জায়গা”। বেশ কয়েক বছর আগে, সন্তানহীন এই দম্পতি তাদের এক বন্ধুকে সাহায্য করতে রাজি হয়েছিলেন, যিনি বিবাহবিচ্ছেদের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন।
শুরুতে কয়েক সপ্তাহের জন্য থাকার কথা থাকলেও, বন্ধুটির মদ্যপানের কারণে পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে এবং প্রায় ছয় মাস পর তাকে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলা হয়।
এরপর, ওই দম্পতি সিদ্ধান্ত নেন, বিশেষ কোনো উপলক্ষ ছাড়া কেউ তাদের বাড়িতে বেশি দিন থাকতে পারবে না। কিন্তু এরপর থেকেই তাদের ওপর যেন আত্মীয়-স্বজনের আনাগোনা বেড়ে যায়। তাদের বাবার প্রাক্তন স্ত্রী আর্থিক সমস্যার কারণে থাকতে চেয়েছিলেন, কিন্তু দম্পতি তাদের এই আবদার প্রত্যাখ্যান করেন।
এরপর, তাদের এক চাচার মেয়ে ও তার চারটি সন্তান, যারা নেশাগ্রস্ততার কারণে গৃহহীন হয়ে পড়েছিল, তাদেরও আশ্রয় দেওয়ার জন্য অনুরোধ আসে। এই বিষয়ে প্রশ্ন তুলে তারা জানান, এতে তাদের শান্তির পরিবেশ নষ্ট হবে।
সবচেয়ে সম্প্রতি, তাদের এক বন্ধু তাদের বাড়িতে আসার ইঙ্গিত দিচ্ছেন। এই বন্ধুটি তাদের বাড়িতে থাকার কথা প্রায়ই বলেন। যদিও তারা বিষয়টি হালকাভাবে নেওয়ার চেষ্টা করেন, তবে বিষয়টি তাদের জন্য বেশ কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে, ওই দম্পতি এখন দ্বিধায় পড়েছেন যে তারা তাদের ব্যক্তিগত স্থান রক্ষার সিদ্ধান্তে সঠিক কিনা।
বিষয়টি নিয়ে তারা সামাজিক মাধ্যম রেডডিটে (Reddit) পরামর্শ চেয়েছেন। সেখানে অনেকেই তাদের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “ওই দম্পতি নিষ্ঠুর নন, বরং তারা তাদের বাড়ি ও শান্তি রক্ষা করছেন। বড় বাড়ি থাকলেই যে সেটি সবার জন্য উন্মুক্ত হয়ে যাবে, এমনটা নয়।
নিজেদের স্থান রক্ষার এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ সঠিক।”
আরেকজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, “আপনারা কোনো গেস্ট হাউস চালাচ্ছেন না। জায়গা আছে বলেই বন্ধু বা আত্মীয়দের থাকার অধিকার জন্মায় না। ‘না’ বলাটাও যথেষ্ট এবং নিজের শান্তি রক্ষা করা ভালো।”
সংস্কৃতিগতভাবে, বাংলাদেশে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার একটি প্রবণতা দেখা যায়। তবে, এই ঘটনার মাধ্যমে ব্যক্তিগত পরিসর রক্ষার প্রয়োজনীয়তাও বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
তথ্য সূত্র: পিপল