ট্রাম্পের শুল্ক: কোন কোন পণ্যের দাম বাড়ছে?

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতির কারণে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়তে পারে, এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিভিন্ন বহুজাতিক সংস্থা এই পরিস্থিতিতে তাদের পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কথা বিবেচনা করছে।

এর সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে বিশ্ব অর্থনীতির ওপর, যার ফলস্বরূপ বাংলাদেশের বাজারেও অনেক পণ্যের দাম বাড়তে পারে।

এই শুল্ক নীতি আসলে কী? সহজ ভাষায় বলতে গেলে, শুল্ক হলো একটি কর যা সরকার আমদানি করা পণ্যের ওপর ধার্য করে।

ট্রাম্প প্রশাসন বিভিন্ন দেশ থেকে আসা পণ্যের ওপর এই শুল্ক বৃদ্ধি করেছে, যার মূল লক্ষ্য ছিল দেশের অভ্যন্তরীণ শিল্পকে সুরক্ষা দেওয়া।

তবে এর ফলস্বরূপ অনেক পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে, যা শেষ পর্যন্ত ভোক্তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে।

ওয়ালমার্ট, ম্যাটেল, বেস্ট বাই, শেইন, তেমু, ফোর্ড, সুবারু, প্রোক্টর অ্যান্ড গ্যাম্বল, স্ট্যানলি ব্ল্যাক অ্যান্ড ডেক্কার এবং অ্যাডিডাসের মতো বৃহৎ কোম্পানিগুলো ইতোমধ্যে দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে।

ওয়ালমার্ট জানিয়েছে, ট্রাম্পের শুল্কের কারণে তাদের পণ্যের দাম বাড়াতে হবে, বিশেষ করে চীন থেকে আসা পণ্যের ক্ষেত্রে।

খেলনা প্রস্তুতকারক ম্যাটেলও জানিয়েছে, তারা তাদের পণ্যের দাম বাড়াবে। অন্যদিকে, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর খুচরা বিক্রেতা বেস্ট বাই সতর্ক করেছে যে তাদের অনেক পণ্যের দাম বাড়তে পারে।

এই পরিস্থিতিতে, অনলাইন ফ্যাশন প্ল্যাটফর্ম শেইন এবং তেমুও তাদের পণ্যের দাম বাড়িয়েছে।

ফোর্ড এবং সুবারু’র মতো গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলোও জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ির দাম বাড়াতে পারে।

প্রোক্টর অ্যান্ড গ্যাম্বল (P&G) তাদের তৈরি বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়ানোর কথা বিবেচনা করছে, যার মধ্যে প্যাম্পার্স, টাইড এবং চারমিনের মতো জনপ্রিয় পণ্যও রয়েছে।

স্ট্যানলি ব্ল্যাক অ্যান্ড ডেক্কারও তাদের পণ্যের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অ্যাডিডাস জানিয়েছে, শুল্কের কারণে তাদের পণ্যের দাম বাড়তে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই শুল্ক নীতি বিশ্ব অর্থনীতির জন্য উদ্বেগের কারণ। এর ফলে একদিকে যেমন পণ্যের দাম বাড়বে, তেমনই সরবরাহ ব্যবস্থাতেও দেখা দিতে পারে জটিলতা।

এর সরাসরি প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের বাজারেও। কারণ, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে।

ফলে, আমদানি করা পণ্যের দাম বাড়লে, তা স্থানীয় বাজারেও প্রতিফলিত হবে।

এই পরিস্থিতিতে, ভোক্তাদের জন্য বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়তে পারে।

তাই, বিশ্ব অর্থনীতির এই পরিবর্তনের দিকে আমাদের বিশেষ নজর রাখা প্রয়োজন। সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দেশের অর্থনীতির ওপর এই পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।

তথ্যসূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *