ডিজনি-র জনপ্রিয় অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র ‘লিলো ও স্টিচ’ -এর লাইভ অ্যাকশন রিমেক মুক্তি পেয়েছে সম্প্রতি। ২০০২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবি আজও দর্শক হৃদয়ে গেঁথে আছে। এবার নতুন করে তৈরি হওয়া এই ছবিতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে, যা মূল গল্পের থেকে এটিকে আলাদা করেছে।
আসুন, দেখে নেওয়া যাক লাইভ অ্যাকশন ছবিতে কী কী পরিবর্তন এসেছে।
প্রথমত, গল্পের প্রধান খলনায়ক ক্যাপ্টেন গান্তু-কে এই ছবিতে দেখা যাবে না। মূল ছবিতে ক্যাপ্টেন গান্তু ছিলেন স্টিচকে ধরতে আসা একজন শক্তিশালী ভিলেন।
কিন্তু রিমেক-এ তার বদলে এই ভূমিকা পালন করতে দেখা যাবে জুম্বাকে। মূল ছবিতে ডেভিড ওগডেন স্টিয়ার্স-এর কণ্ঠে জুম্বা ছিলেন একজন উদ্ভট বিজ্ঞানী, যিনি স্টিচ তৈরি করেছিলেন। নতুন ছবিতে জুম্বার চরিত্রে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা জ্যাক গ্যালিয়ানাকিজ।
দ্বিতীয়ত, অ্যানিমেটেড ছবিতে প্লিকলি-কে জুম্বার সাথে পৃথিবীতে বিভিন্ন ছদ্মবেশে দেখা যেত, যার মধ্যে নারীদের পোশাকও ছিল। কিন্তু লাইভ অ্যাকশন ছবিতে প্লিকলি-র পোশাকে তেমন কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি।
পরিচালক অবশ্য প্লিকলি-কে এই রূপে দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটি বাস্তবায়িত হয়নি।
তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনটি হলো, মূল ছবির কিছু অভিনেতা নতুন রূপে ফিরে এসেছেন। লিলোর বড় বোন নানি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিয়া কারে। রিমেক-এ তিনি মিসেস কেকোয়া নামক একজন সমাজকর্মীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
এছাড়াও, অ্যানিমেটেড ছবিতে মিসেস হাসাগাওয়ার চরিত্রে কণ্ঠ দেওয়া অ্যামি হিল-কে নতুন ছবিতে দেখা যাবে টুটু নামক একটি চরিত্রে।
গল্পের সমাপ্তিতেও এসেছে পরিবর্তন। মূল ছবিতে লিলো, স্টিচ, নানি এবং ডেভিড-কে একসাথে সুখী পরিবার হিসেবে দেখানো হয়েছিল।
কিন্তু রিমেক-এ নানিকে তার ভবিষ্যৎ জীবনের দিকে আরও বেশি মনোযোগ দিতে দেখা যায়। লিলোর দায়িত্ব নেওয়ার পর নানিকে তার স্বপ্ন পূরণ করতে উৎসাহিত করা হয় এবং মেরিন বায়োলজি নিয়ে পড়াশোনা করার জন্য কলেজে যেতে দেখা যায়।
নানি সবসময় লিলো এবং স্টিচের থেকে দূরে না থাকলেও, তাদের দেখা করার জন্য একটি পোর্টাল গান ব্যবহার করতে দেখা যায়।
সব মিলিয়ে, লাইভ অ্যাকশন ‘লিলো ও স্টিচ’ ছবিতে পুরনো গল্পের স্বাদ বজায় রেখে নতুনত্ব যোগ করার চেষ্টা করা হয়েছে। বিশেষ করে, পরিবারের বন্ধন এবং দায়িত্ববোধের বিষয়টি দর্শকদের মন জয় করবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: পিপল