ছেলের ভবিষ্যৎ: কলেজ ফান্ডের টাকা বিয়ের জন্য, বাবা-মায়ের সিদ্ধান্তে ঝড়!

ছেলেটির উচ্চশিক্ষা, নাকি ভাইয়ের বিয়ে? পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব!

সম্প্রতি একটি নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়া এক তরুণ, যার বয়স আঠারো বছর, এখন দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে। কারণ, তার বাবা-মা চাচ্ছেন ছেলের শিক্ষা জীবনের জন্য জমানো অর্থ ব্যবহার করতে তার বিবাহিত বড় ভাইয়ের বিয়ের খরচ মেটাতে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

ছেলেটির দাদা-দাদি তার জন্মের সময় একটি শিক্ষা তহবিল তৈরি করেছিলেন। সেই তহবিলের অর্থে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার খরচ প্রায় মিটে যাওয়ার কথা। তরুণটি জানিয়েছে, তার বাবা-মাও এই তহবিলের কথা জানতেন এবং সেটিকে ভিত্তি করেই সে তার ভবিষ্যৎ শিক্ষার পরিকল্পনা সাজিয়েছিল।

কিন্তু সম্প্রতি, তার পঁচিশ বছর বয়সী বড় ভাই বিয়ের ঘোষণা দেওয়ার পরই সব কিছু যেন ওলট-পালট হয়ে যায়। ছেলের ভাষ্যমতে, বিয়ের খরচ জোগাতে তার বাবা-মা শিক্ষা তহবিল থেকে টাকা ধার করতে চাইছে। বিষয়টি জানার পর সে অবাক হয়ে যায় এবং সরাসরি জানিয়ে দেয় যে, এই টাকা তার শিক্ষার জন্য।

ছেলের এমন সিদ্ধান্তে তার বাবা-মা অসন্তুষ্ট হন। তারা যুক্তি দেখান, ছেলের শিক্ষা জীবনের জন্য প্রয়োজনে ঋণ নেওয়া যেতে পারে, কারণ “পরিবার সবার আগে”। এমনকি, তার ভাই ও ভাইয়ের বাগদত্তা তাকে “স্বার্থপর” বলেও অভিহিত করেন, কারণ তারা একটি “বড়” বিয়ের আয়োজন করতে চান। তরুণটি আবারও তার সিদ্ধান্তে অনড় থাকে। এতে তার বাবা-মা হতাশ হয়েছেন এবং বড় ভাই তার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছেন।

বিষয়টি নিয়ে অনলাইনে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। তাদের প্রশ্ন, কেন ভাইয়ের বিয়ের জন্য ছেলের শিক্ষার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে? অনেকে পরামর্শ দিয়েছেন, ভাইয়ের উচিত ঋণ নিয়ে বিয়ের খরচ চালানো অথবা বিয়ের আয়োজন ছোট করা। কেউ কেউ বলেছেন, ভাইও ছাত্রের শিক্ষা ঋণে সাহায্য করতে পারে এবং সেটি পরিশোধ করতে পারে।

তবে সবার মূল সুর ছিল একটাই – পরিবারের আগে সন্তানের ভবিষ্যৎ। যে শিক্ষার জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে, সেটিই অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত, ভাইয়ের জমকালো বিয়ের চেয়ে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *