প্রেমিকার প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে একই বাড়িতে থাকতে রাজি না হওয়ায়, বাড়ি ছাড়লেন এক ব্যক্তি। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা চলছে।
সম্প্রতি, ‘আমি কি খারাপ’ (Am I the A——) শীর্ষক একটি রেডডিট (Reddit) ফোরামে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানান এক ব্যক্তি। তিনি জানান, তার প্রেমিকা, যিনি আগে বিবাহিত ছিলেন এবং তাদের একটি ১০ বছর বয়সী কন্যা সন্তান রয়েছে, গত বছর একটি বাড়ি কেনেন।
ওই ব্যক্তি আরও জানান, তিনি ওই বাড়িতে প্রেমিকার সঙ্গে বসবাস শুরু করেন এবং বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণে সহায়তা করতে রাজি হন। যদিও বাড়ির মালিকানা বা বন্ধকিতে তার কোনো অংশ ছিল না, তবুও তিনি প্রতি মাসে বাড়ির খরচ বাবদ প্রায় ২ হাজার ডলার দিতেন।
সবকিছু ভালোই চলছিল, কিন্তু এর মাঝেই তার প্রেমিকা জানান যে তিনি তার প্রাক্তন স্বামী, অর্থাৎ মেয়ের বাবাকে তাদের সঙ্গে থাকতে দিতে চান, যাতে তারা মেয়ের দেখাশোনা করতে পারেন।
ওই ব্যক্তি শুরুতে এই প্রস্তাবে রাজি ছিলেন, কারণ তিনি মেয়ের ভালো চান এবং তাদের মেয়ের জন্য স্থিতিশীল একটি পরিবেশ তৈরি করতে চেয়েছিলেন। তবে কিছুদিন পর তিনি অনুভব করেন, তিনি যেন তাদের সংসারে তৃতীয় ব্যক্তি।
প্রাক্তন স্বামী তাদের প্রতি অতিমাত্রায় বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করতেন, যা স্বাভাবিক সম্পর্কের চেয়ে বেশি কিছু ইঙ্গিত দেয়। এতে তিনি বেশ অস্বস্তি বোধ করতে শুরু করেন।
অবশেষে, নিজের মানসিক শান্তির কথা ভেবে তিনি বাড়িটি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু এর পরেই শুরু হয় নতুন সমস্যা।
তার প্রেমিকা এতে অসন্তুষ্ট হন এবং বাড়ি ভাড়ার খরচ যোগাতে তার সাহায্য চেয়ে বসেন। ওই ব্যক্তি জানান, প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে একই বাড়িতে থাকতে তার ভালো লাগছে না এবং যে বাড়ির মালিকানা তার নেই, সেই বাড়ির জন্য অর্থ দেওয়াটাও তিনি আর চালিয়ে যেতে চান না।
রেডডিটের ওই পোস্টে মন্তব্যকারীরা সবাই ওই ব্যক্তির প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েছেন। তাদের অধিকাংশই মনে করেন, ওই নারীর এই সিদ্ধান্তে তার কোনো ভূমিকা নেই।
বরং প্রেমিকা সম্ভবত তাকে ব্যবহার করছেন। অনেকে পরামর্শ দিয়েছেন, ওই ব্যক্তির উচিত এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা।
এই ঘটনার মাধ্যমে বাংলাদেশে পারিবারিক সম্পর্ক, বিশেষ করে বিবাহবিচ্ছেদ এবং সন্তানের প্রতিপালন বিষয়ক কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সামনে এসেছে। যৌথ পরিবারে বেড়ে ওঠা আমাদের সমাজে, যেখানে বিবাহ বিচ্ছেদের সংখ্যা বাড়ছে, সেখানে সন্তানদের ভালো-মন্দ দেখাশোনার ক্ষেত্রে এমন ঘটনাগুলো নতুন করে আলোচনার জন্ম দেয়।
এছাড়াও, আর্থিক বিষয়গুলো সম্পর্কের ওপর কতটা প্রভাব ফেলে, তা নিয়েও নতুন করে ভাবতে শুরু করেছেন অনেকে।
তথ্য সূত্র: পিপল