মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে এক মর্মান্তিক ঘটনায় নিহত ছাত্রের হত্যাকারীকে স্নাতক হওয়ার অনুমতি দেওয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে টেক্সাসের একটি ট্র্যাক মিটে, যেখানে ১৭ বছর বয়সী অস্টিন মেটকাল্ফকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত ১৮ বছর বয়সী কারমেলো অ্যান্টনিকে স্নাতক হওয়ার অনুমতি দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিহত ছাত্রের বাবা জেফ মেটকাল্ফ।
জানা গেছে, ফ্রিসকো ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্কুল ডিস্ট্রিক্ট (এফআইএসডি) কর্তৃপক্ষ কারমেলো অ্যান্টনিকে তার ডিগ্রি প্রদান করবে, তবে তিনি স্নাতক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবেন না। এফআইএসডি কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন নিহত অস্টিনের বাবা।
তিনি টেক্সাস শিক্ষা এজেন্সিতে (টিইএ) অভিযোগ দায়ের করেছেন।
প্রতিবেদনে প্রকাশ, কারমেলো অ্যান্টনি একজন ভাল ছাত্র ছিলেন এবং তার জিপিএ ৩.৭। নেক্সট জেনারেশন অ্যাকশন নেটওয়ার্ক (এনজিএএন) নামক একটি সংস্থার মতে, কারমেলো তার একাডেমিক যোগ্যতা সম্পন্ন করেছেন।
এনজিএএন-এর মতে, কারমেলোকে স্নাতক হওয়ার অনুমতি দেওয়া একটি সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল। তাদের মতে, এটি কারমেলোর জন্য সম্মানের বিষয় এবং এটি সঠিক পদ্ধতিতে সমর্থন করার প্রমাণ।
ঘটনার সূত্রপাত হয় গত এপ্রিল মাসে, যখন একটি ট্র্যাক মিটে সিট নিয়ে বিতর্কের জেরে অস্টিন মেটকাল্ফকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, কারমেলো তার ব্যাগ থেকে ছুরি বের করে অস্টিনকে আঘাত করে।
যদিও কারমেলোর আইনজীবী দাবি করেছেন, তার মক্কেল আত্মরক্ষার্থে এই কাজ করেছেন। ঘটনার পর কারমেলোকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে ফার্স্ট-ডিগ্রি মার্ডারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এই ঘটনার পর মৃতের পরিবার এবং অভিযুক্তের পরিবারের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। অস্টিনের বাবা জেফ মেটকাল্ফ ঘটনার বিচার চেয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন।
তিনি জানান, কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে তিনি হতাশ।
এদিকে, স্কুল সুপারিনটেনডেন্ট মাইক ওয়ালড্রিপ জানিয়েছেন, গুরুতর অপরাধে জড়িত কোনো ছাত্রকে স্নাতক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দেওয়া হবে না।
এই ঘটনার জেরে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
বর্তমানে, এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া চলছে। কর্তৃপক্ষ ঘটনার তদন্ত করছে এবং খুব শীঘ্রই এর একটি সঠিক সমাধান আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম।