দাদুর সাথে ডিনার বাতিল! পরিবারের প্রতিক্রিয়ায় হতবাক তরুণী

বাংলাদেশের পরিবারগুলোতে একসাথে মিলিত হওয়ার একটা বিশেষ ঐতিহ্য রয়েছে, যেখানে পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় করার জন্য নানা আয়োজন করা হয়। সম্প্রতি, এমনই একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করতে না পারায়, যুক্তরাষ্ট্রের ২৬ বছর বয়সী এক নারীর পরিবারের মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। ঘটনাটি মূলত, পরিবারের সদস্যদের মধ্যে যোগাযোগের ভুল বোঝাবুঝি থেকে সৃষ্টি হয়।

জানা যায়, ওই নারীর পরিবারের সদস্যরা তাদের পরিবারের সবচেয়ে বয়স্ক সদস্য, অর্থাৎ, তার ঠাকুরমার বাড়িতে নৈশভোজের আয়োজন করেন। ওই নারীকে নৈশভোজে যোগ দেওয়ার জন্য মাত্র ৯০ মিনিটের নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। ঘটনার সূত্রপাত হয় কয়েক দিন আগে, যখন ওই নারী তার পরিবারের সাথে তার কাজের সময়সূচী নিয়ে কথা বলছিলেন।

কথোপকথনের এক পর্যায়ে, তিনি নৈশভোজের তারিখ সম্পর্কে ভুল তথ্য দেন। পরে অবশ্য তিনি তা সংশোধন করে জানান যে, তিনি পরের রবিবার রাতের খাবারে যোগ দিতে পারবেন।

কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায়, ওই নারী এবং তার পরিবারের মধ্যে নৈশভোজের তারিখ নিয়ে ভিন্ন ধারণা ছিল। ওই নারীর মা জানান, তিনি তাদের কুকুরদেরও সাথে নিয়ে যেতে পারবেন। তখন ওই নারী জানতে পারেন যে, সেদিনই তার ঠাকুরমার বাড়িতে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে।

হঠাৎ করে পাওয়া এই খবরে ওই নারী কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন। কারণ, তিনি সেই দিনের জন্য আগে থেকেই কিছু পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন। তিনি জানান, তার কুকুরকে হাঁটাতে যাওয়া এবং ব্যক্তিগত কিছু কাজ করারও পরিকল্পনা ছিল।

তার উপর, এত অল্প সময়ে প্রস্তুত হওয়া তার জন্য কঠিন ছিল। ওই নারীর মতে, পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের আগে থেকে বিষয়টি জানানো উচিত ছিল।

ঘটনার আকস্মিকতায় তিনি নৈশভোজে অংশ নিতে রাজি হননি। এর ফলস্বরূপ, পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তার উপর অসন্তুষ্ট হন। মা তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, ঠাকুরমা তাকে খুব মিস করবেন।

অন্যদিকে, তার ভাইবোনেরা তাকে মিথ্যাবাদী বলেও অভিযুক্ত করেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার মতামত প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি জানান, আর্থিক কারণে তিনি এখনো বাবা-মায়ের সাথে থাকেন।

এমতাবস্থায়, পরিবারের এই প্রতিক্রিয়ায় তিনি বেশ হতাশ হয়ে পড়েন। সোশ্যাল মিডিয়ার অনেক ব্যবহারকারী এই ঘটনায় ওই নারীর পরিবারের পক্ষ নিয়েছেন। তাদের মতে, নৈশভোজে যোগ দেওয়ার জন্য তার যথেষ্ট সময় ছিল।

আবার কেউ কেউ মনে করেন, তিনি যদি এতে মানসিক চাপ অনুভব করেন, তাহলে তার না যাওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। তথ্য সূত্র: পিপলস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *