মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্বাস্থ্য এবং তার পুনরায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিয়ে একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত “অরিজিনাল সিন” নামক একটি বইয়ে দাবি করা হয়েছে, বাইডেনের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটার বিষয়টি তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং উপদেষ্টারা গোপন রেখেছিলেন।
বইটিতে বাইডেনের দুর্বল স্বাস্থ্যের বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরা হয়েছে।
বইটির লেখকদ্বয় হলেন – সিএনএন-এর প্রধান রাজনৈতিক সংবাদদাতা এবং হোয়াইট হাউজের প্রতিনিধি জ্যাক টেপার এবং অ্যাক্সিওস-এর জাতীয় রাজনৈতিক সংবাদদাতা অ্যালেক্স থম্পসন। তাঁরা এই বিষয়ে প্রায় ২০০ জনের বেশি মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন, যাদের মধ্যে কংগ্রেস সদস্য, হোয়াইট হাউজের কর্মী এবং বাইডেনের নির্বাচনী প্রচারণার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাও ছিলেন।
বইটিতে বাইডেনের শারীরিক অবস্থার অবনতির বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে আইওয়া অঙ্গরাজ্যে আট দিনের এক কঠিন বাস সফরে বাইডেনের একজন দীর্ঘদিনের সহযোগী মাইক ডোনিলনের নাম মনে করতে বেশ বেগ পেতে হয় বাইডেনকে। এমনকি, তিনি তাঁর সহকারীর নাম বলতে গিয়ে বেশ কয়েকবার আটকে গিয়েছিলেন।
বইটিতে আরও বলা হয়েছে, বাইডেন সম্ভবত তাঁর অসুস্থতার বিষয়টি গোপন রাখতে চেয়েছিলেন। তাঁর ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টারাও বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
তাঁদের মতে, বাইডেনকে পুনরায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেশের প্রতি এবং ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রতি এক ধরনের অবিচার ছিল।
বইটিতে বাইডেনের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে নিয়েও সমালোচনা করা হয়েছে। অনেক ডেমোক্র্যাট মনে করেন, হ্যারিস সেভাবে দলের জন্য কাজ করেননি।
এমনকি কেউ কেউ এমনও মন্তব্য করেছেন যে, হ্যারিসকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেছে নেওয়াটা একটা ভুল ছিল।
বইটিতে বাইডেনের শারীরিক অসুস্থতার বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে।
চিকিৎসকদের মতে, বাইডেনের প্রোস্টেট ক্যান্সার সম্ভবত তাঁর প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের সময় থেকেই ছিল।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বাইডেনের এই অসুস্থতা এবং তা গোপন রাখার বিষয়টি ডেমোক্রেটিক পার্টির জন্য একটি বড় ধাক্কা।
এর ফলে আগামী নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির হোয়াইট হাউস পুনরুদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়বে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান