১১২ বছর বয়সী সিস্টার ফ্রান্সিস ডোমিনিচি পিসকাটেলা, যিনি বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক নান, নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডে বসবাস করেন। এপ্রিল মাসে তিনি ১১১ বছর পূর্ণ করেছেন এবং দীর্ঘ ৯৪ বছর ধরে ক্যাথলিক চার্চের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেছেন।
জীবনের এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় তিনি অন্যদের জন্য কী পরামর্শ দেন? তাঁর মতে, মানুষের উচিত ‘জীবন থাকতে শেখানো’ এবং আশেপাশের মানুষের সাহায্য করা।
সিস্টার ফ্রান্সিসের জীবন সবসময় সহজ ছিল না। শৈশবে এক ট্রেন দুর্ঘটনায় তিনি তাঁর বাম হাত হারান। এই কারণে শুরুতে কিছু কনভেন্ট তাঁকে গ্রহণ করতে দ্বিধা বোধ করত।
কারণ, তাঁদের আশঙ্কা ছিল, শারীরিক অক্ষমতার কারণে সিস্টার হয়তো ভালোভাবে সেবা করতে পারবেন না। তবে, ১৭ বছর বয়সে ডমিনিকান অর্ডারের এক পুরোহিত সিস্টার ফ্রান্সিসের শিক্ষাদানের ক্ষমতা উপলব্ধি করেন এবং তাঁকে কনভেন্টে থাকার অনুমতি দেন।
এরপর তিনি ক্যাথলিক স্কুলগুলোতে ৮৪ বছর বয়স পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষকতা করেছেন।
সিস্টার ফ্রান্সিস জানান, তিনি সব বিষয়েই ভালো ছাত্রী ছিলেন এবং একজন ভালো শিক্ষকও ছিলেন, কারণ তিনি সবসময় নিজে শিখতেন এবং সেই শিক্ষাকে নিজের মধ্যে গেঁথে নিতেন।
বর্তমান বয়সে এসে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক নান হওয়ার অনুভূতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, বয়স নিয়ে তিনি বিশেষ ভাবেন না। তাঁর মনে হয়, তিনি স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন।
তিনি আরও বলেন, এখনো তিনি ভালোভাবে চিন্তা করতে পারেন এবং তাঁর শিক্ষকতা করারও যথেষ্ট ক্ষমতা আছে।
সিস্টার ফ্রান্সিস নিয়মিত প্রার্থনা করেন এবং প্রয়াত বন্ধুদের জন্য বিশেষ প্রার্থনা করেন। তিনি বিশ্বাস করেন, তাঁরা মৃত্যুর পরেও মানুষকে সাহায্য করেন।
সেন্ট ডমিনিকের সিস্টারদের ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা একটি ভিডিওতে তিনি এই কথাগুলো বলেন। সিস্টার ফ্রান্সিসের জীবন, মানুষের প্রতি তাঁর গভীর ভালোবাসা এবং শেখানোর আগ্রহ আমাদের সকলের জন্য অনুকরণীয়। তাঁর এই দীর্ঘ এবং সুন্দর জীবন আমাদের সকলের কাছে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
তথ্য সূত্র: পিপল