আর্সেনাল নারী দলের ১৮ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়, বার্সেলোনার স্বপ্নভঙ্গ
ফুটবল বিশ্বে আবারও আলোড়ন সৃষ্টি করলো আর্সেনাল নারী দল। শনিবার রাতে তারা ২ বারের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনাকে ১-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো নারী চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা ঘরে তুলেছে।
লিসবনে অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচে অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল হিসেবে মাঠে নামলেও, আর্সেনালের খেলোয়াড়দের অসাধারণ পারফরম্যান্সে বার্সেলোনার মতো শক্তিশালী দলকে হার মানতে হয়।
ম্যাচের শুরু থেকেই বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করে। তাদের আক্রমণগুলো রুখে দিতে আর্সেনালের রক্ষণভাগকে বেশ বেগ পেতে হয়।
তবে ম্যাচের ৭৪ মিনিটে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেন আর্সেনালের স্ট্রাইকার স্টিনা ব্ল্যাকস্টেনিয়াস। বার্সেলোনার রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলে দারুণ এক গোল করেন তিনি।
এই গোলের মাধ্যমেই আর্সেনাল ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় এবং শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
ম্যাচ শেষে আর্সেনাল ম্যানেজার রেনি স্লেগার্স সাংবাদিকদের বলেন, “আজকের খেলাটা সম্ভবত আমাদের জন্য সবচেয়ে কঠিন ছিল। বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের দক্ষতা এবং তাদের আক্রমণের তীব্রতা সামলানো কঠিন ছিল। প্রতিটি মুহূর্তে খেলোয়াড়দের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।”
অন্যদিকে, বার্সেলোনার খেলোয়াড় আইটানা বোন্মতি পরাজয়ের কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, “আমরা আমাদের সেরাটা দিতে পারিনি, তবে আমরা চেষ্টা করেছি। ফুটবলে এমনটা হয়।
আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে এবং ভবিষ্যতের জন্য এই পরাজয় থেকে শিক্ষা নিতে হবে।”
আর্সেনালের এই জয়ে শুধু তাদের দলই নয়, বরং তাদের সমর্থকরাও উচ্ছ্বসিত। খেলার শুরুতে অনেকেই আর্সেনালের জয় নিয়ে সন্দিহান ছিলেন, তবে মাঠের খেলায় তারা প্রমাণ করে দিয়েছে যে, দৃঢ় মনোবল থাকলে যেকোনো কিছুই জয় করা সম্ভব।
উল্লেখ্য, এর আগে আর্সেনাল নারী দল ২০০৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিল। মাঝের ১৮ বছর তারা এই ট্রফি থেকে দূরে ছিল।
আর্সেনালের এই ঐতিহাসিক জয়ে নারী ফুটবলের প্রতি বাংলাদেশের দর্শকদের আগ্রহ আরও বাড়বে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের নারী ফুটবল দলও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভালো করবে, এমনটাই প্রত্যাশা সবার।
তথ্য সূত্র: সিএনএন