আসছে সুন্দর ভবিষ্যৎ? জলবায়ু উদ্বেগে মা ও শিশুদের গল্প!

জলবায়ু পরিবর্তনের ভবিষ্যৎ এবং মাতৃত্বের গল্প নিয়ে তৈরি হওয়া নাটক ‘দ্য বিউটিফুল ফিউচার ইজ কামিং’-এর একটি পর্যালোচনা সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। ফ্লোরা উইলসন ব্রাউন রচিত এই নাটকটিতে তিনটি ভিন্ন সময়ের প্রেক্ষাপটে পরিবেশ এবং ভবিষ্যতের উদ্বেগ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

নাটকটি বর্তমানে ব্রিস্টল ওল্ড ভিক-এ ৭ই জুন পর্যন্ত প্রদর্শিত হচ্ছে।

নাটকের গল্পগুলি সাজানো হয়েছে তিনটি ভিন্ন সময়ে। প্রথমটি হলো ২০২৭ সালের লন্ডন, যেখানে ক্লেয়ার ও ড্যান কার্বন-ট্র্যাকিংয়ের কাজ করতে গিয়ে একে অপরের প্রেমে পড়েন।

এরপর ১৮৫৬ সালের নিউ ইয়র্কে, যেখানে ইউনিস ফুট নামের এক নারী বিজ্ঞানী গ্রিনহাউস এফেক্ট আবিষ্কার করেন, যদিও লিঙ্গ এবং পেশাগত কারণে তাঁর এই আবিষ্কারকে সেসময় গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।

সবশেষে, ২১০০ সালে স্বালবার্ড-এর একটি বীজ ভল্টে আনা নামের এক গর্ভবতী নারী, একটি নিরাপদ এবং পরিষ্কার পরিবেশে সন্তানের জন্ম দেওয়ার জন্য অস্থির হয়ে আছেন, যখন বাইরের আবহাওয়া চরম প্রতিকূল।

এই তিনটি গল্প মূলত মাতৃত্ব এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মানুষের উদ্বেগকে কেন্দ্র করে বোনা হয়েছে।

ন্যান্সি মেডিনার পরিচালনায় নাটকটি বেশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। তিনটি ভিন্ন সময়ের প্রেক্ষাপট পরিবর্তনে মঞ্চের দৃশ্যপট এবং অভিনেতাদের অভিনয়শৈলীতেও ভিন্নতা রয়েছে।

ফোবি থমাস, নিনা সিং এবং রোজ ডায়ার-এর অভিনয় ছিল বিশেষভাবে প্রশংসার যোগ্য।

পুরুষ চরিত্রগুলির মধ্যে মাইকেল সালামি ড্যানের চরিত্রে ভালো অভিনয় করেছেন।

আলদো ভাসকুয়েজের সেট ডিজাইন, রায়ান ডে-র আলো এবং এলেনা পেনিয়ার শব্দ পরিকল্পনা নাটকের সময়সীমাকে এক সুসংহত রূপ দিয়েছে।

পর্যালোচনা অনুযায়ী, নাটকটির প্রতিটি গল্পই আলাদাভাবে আকর্ষণীয়। তবে, একটি এক-অঙ্ক নাটকের পরিসরে বিষয়গুলো সম্পূর্ণরূপে ফুটিয়ে তোলা সম্ভব হয়নি, যার কারণে নাটকের গভীরতা কিছুটা সীমিত মনে হয়েছে।

সমালোচক মনে করেন, নাটকটির শেষাংশ কিছুটা অপ্রত্যাশিতভাবে আশাবাদী। জলবায়ু পরিবর্তনের মতো একটি ভয়াবহ বিষয় নিয়ে কাজ করার সময়, এই ধরনের আশাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি খুবই প্রয়োজনীয়।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের মানুষ আজ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। একদিকে যেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ছে, তেমনই পরিবেশ দূষণের কারণে মানুষের জীবনযাত্রাও কঠিন হয়ে পড়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে, ভবিষ্যতের উদ্বেগের চিত্র তুলে ধরা এই নাটকটি সম্ভবত দর্শকদের মধ্যে গভীর প্রভাব ফেলবে। পরিবেশ বিষয়ক সচেতনতা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর পৃথিবী গড়ার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে নাটকটি নতুন করে ভাবতে সাহায্য করবে।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *