প্রেমের সম্পর্কে আর্থিক সঙ্গতি কতটা গুরুত্বপূর্ণ? সম্প্রতি এমনই একটি প্রশ্ন উঠেছে, যখন এক ব্যক্তি তাঁর প্রেমিকার সঙ্গে ভ্রমণের পরিকল্পনা নিয়ে দ্বিধায় পড়েছেন। জানা গেছে, ওই ব্যক্তি ইউরোপ থেকে অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণে যেতে চান, যেখানে তাঁর প্রেমিকার পরিবারের সদস্যরা থাকেন।
সমস্যা হলো, তিনি বিজনেস ক্লাসে যেতে পারলেও, তাঁর প্রেমিকা ও তাঁর সন্তানের পক্ষে ইকোনমি ক্লাসের বেশি টিকিট কেনার সামর্থ্য নেই।
বিষয়টি নিয়ে ওই ব্যক্তি একটি অনলাইন ফোরামে (Mumsnet) তাঁর উদ্বেগের কথা জানান। তিনি জানান, তিনি ভাগ্যবান যে বিজনেস ক্লাসের টিকিট কাটতে পারেন। কিন্তু তাঁর প্রেমিকা এবং তাঁর সন্তানের জন্য সেই বিলাসিতা সম্ভব নয়।
বিজনেস ক্লাসের টিকিটের দাম প্রায় ৬,৭০০ মার্কিন ডলার, যেখানে ইকোনমি ক্লাসের টিকিটের দাম ১,৯০০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা আনুমানিক ৫ লক্ষ ৬৯ হাজার টাকার বেশি এবং ১ লক্ষ ৬১ হাজার টাকার কাছাকাছি।
ওই ব্যক্তি আরও জানান, তিনি চান তাঁর প্রেমিকা ও তাঁর ছেলের সঙ্গেই বসে ভ্রমণ করতে। কিন্তু বিজনেস ক্লাসের আরাম ছেড়ে ইকোনমি ক্লাসে তাদের সঙ্গে যাওয়াটা তাঁর জন্য বেশ কঠিন।
তাঁর শারীরিক কিছু সমস্যাও রয়েছে, যার কারণে তিনি দীর্ঘক্ষণ একটি ছোট আসনে বসতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। এই দ্বিধা থেকেই তিনি জানতে চান, তাঁর এই পরিস্থিতিতে কি করা উচিত?
বিষয়টি নিয়ে অনলাইন ফোরামে আলোচনার ঝড় ওঠে। ৬০০ জনের বেশি সদস্যের মধ্যে ৬৬ শতাংশই মতামত দিয়েছেন যে, তাঁর এমনটা করা উচিত নয়। অর্থাৎ, প্রেমিকা ও তাঁর ছেলের সঙ্গে ইকোনমি ক্লাসে না গিয়ে বিজনেস ক্লাসে একাই ভ্রমণ করাটা সঙ্গত হবে না।
অনেকের মতে, সম্পর্কের ক্ষেত্রে একসঙ্গে পথ চলা এবং সঙ্গীর প্রতি সহানুভূতি অত্যন্ত জরুরি।
আলোচনা থেকে উঠে আসে, ভালোবাসার সম্পর্কে আর্থিক বিষয়গুলি অনেক সময় জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে ভ্রমণের মতো ক্ষেত্রে টিকিটের দাম একটি বড় বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।
এখানে সঙ্গীর আর্থিক সঙ্গতি বিচার করে সিদ্ধান্ত নেওয়াটা সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে। এই পরিস্থিতিতে, একসঙ্গে পথ চলার মানসিকতা এবং একে অপরের প্রতি সম্মান ও বোঝাপড়া সম্পর্কের ভিত্তি মজবুত করে।
তথ্য সূত্র: পিপল