হিটলারের খাবার: নারীদের ভয়ঙ্কর জীবন!

এখানে একটি নতুন সংবাদ নিবন্ধ, যা মূল নিবন্ধের তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।

**হিটলারের খাদ্য পরীক্ষক: যুদ্ধের এক অচেনা নারী-কাহিনি**

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ: ইতিহাসের এক বিভীষিকাময় অধ্যায়। এই সময়ে, একদিকে যেমন বিশ্বজুড়ে চলেছে ধ্বংসযজ্ঞ, তেমনই এর মাঝে লুকিয়ে ছিল অনেক অজানা ঘটনা।

সম্প্রতি, এমনই একটি ঘটনার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে একটি চলচ্চিত্র, যা হিটলারের খাদ্য পরীক্ষকদের নিয়ে এক চাঞ্চল্যকর গল্প তুলে ধরেছে।

মার্গট ভোল্ক নামের এক নারীর কথা এই চলচ্চিত্রের মূল বিষয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, মার্গট এবং আরও কয়েকজন নারীকে হিটলারের জন্য খাবার চেখে দেখার কাজ করতে বাধ্য করা হয়।

তাদের কাজ ছিল, হিটলারের খাবার গ্রহণের আগে তা পরীক্ষা করা, যাতে খাবারে কোনো বিষাক্ত পদার্থ মেশানো নেই।

এই কাজটি ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ সামান্য ভুলের কারণে তাদের জীবনহানির সম্ভবনা ছিল।

নতুন চলচ্চিত্র ‘দ্য টেস্টার্স’ (The Tasters), ইতালীয় ঔপন্যাসিক রোসেলা পোস্টোরিনোর একটি উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে।

চলচ্চিত্রটির পরিচালক সিলভিও সোল্ডিনি জানিয়েছেন, তিনি এই গল্পটিকে সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি করেছেন।

তিনি বিশেষভাবে জোর দিয়েছেন, যুদ্ধের ভয়াবহতার মাঝে নারীদের জীবন কেমন ছিল, সেই দিকটি তুলে ধরার উপর।

তবে, মার্গটের এই দাবি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।

অনেক ঐতিহাসিক এই ঘটনার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

তাদের মতে, হিটলারের গোপন ডেরায় এতজন নারীর খাদ্য পরীক্ষক হিসেবে কাজ করার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

যদিও মার্গটের বয়ান অনুযায়ী, তিনি এবং আরও ১৪ জন নারী, হিটলারের ‘উলফ’স লেয়ার’ (Wolf’s Lair) -এ প্রায় দুই বছর ধরে এই কাজটি করেছেন।

ইতিহাসবিদ ফেলিক্স বোহরের মতে, মার্গটের স্মৃতিতে যুদ্ধের প্রভাব থাকতে পারে।

যুদ্ধকালীন সময়ে ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনার কারণে মানুষের স্মৃতিতে বিভ্রম দেখা যায়।

তাই, মার্গটের অভিজ্ঞতাকে পুরোপুরি সত্যি হিসেবে মেনে নেওয়া কঠিন।

অন্যদিকে, চলচ্চিত্রটির পরিচালক, সিলভিও সোল্ডিনি মনে করেন, গল্পের সত্যতা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, নারীদের প্রতি যুদ্ধের প্রভাব এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তবে, চলচ্চিত্রটি মার্গটের জীবনের একটি দিক তুলে ধরেছে, যা যুদ্ধের ভয়াবহতার এক নতুন চিত্র।

এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নারীদের ত্যাগ ও কষ্টের এক অজানা অধ্যায় উন্মোচিত হয়েছে।

তথ্যসূত্র: The Guardian

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *