ওয়াশিংটনের বাসিন্দা জেন ইউইং-এর একটি ঘটনা সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া একটি চেকের মাধ্যমে তিনি যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তা অনেকের কাছেই অনুকরণীয়।
একদিন সকালে হাঁটার সময়, জেন রাস্তার পাশে একটি চেক খুঁজে পান। চেকটি স্থানীয় একটি দোকানের কর্মচারীর নামে ইস্যু করা হয়েছিল। প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন, যদি চেকটি তার নিজের হতো! কিন্তু যখন দেখলেন চেকটি তার নয়, তখন তিনি অন্যরকম কিছু করার সিদ্ধান্ত নিলেন।
জেন-এর মনে হলো, চেকটি সঠিক মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত। কারণ, হারিয়ে যাওয়া চেক ব্যবহার করে প্রতারণা করারও সম্ভবনা থাকে। বিষয়টি তিনি ভালোভাবে উপলব্ধি করেছিলেন, কারণ এর আগে তিনি এক উবার চালকের সঙ্গে কথা বলেছিলেন, যিনি চেক জালিয়াতির শিকার হয়েছিলেন।
জেন দ্রুত ব্যবস্থা নিলেন। তিনি সরাসরি সেই দোকানে গেলেন এবং চেকটি কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিলেন। দোকানের মালিক এবং কর্মচারীদের এমন অপ্রত্যাশিত উৎসাহ দেখে তিনি মুগ্ধ হয়ে যান। তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ধরন তাকে আরও বেশি মানবিক করে তুলেছিল।
এই ঘটনার রেশ ধরে, জেন টিকটক-এ একটি ভিডিও তৈরি করেন। ভিডিওটি দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায় এবং প্রচুর মানুষ এটি দেখে। টিকটক থেকে তিনি কিছু অর্থ উপার্জন করেন। এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন, এই উপার্জিত অর্থ দিয়ে তিনি দোকানটিকে আবারও সহায়তা করবেন। তিনি দোকানটিতে ফিরে গিয়ে তাদের সহায়তা করার পরিকল্পনা করছেন।
দোকানের মালিক চেকটি ফিরে পেয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেন। তিনি জানান, চেকটি হারিয়ে যাওয়ার পর তিনি চিন্তিত ছিলেন, যদি এটি অন্য কারও হাতে পরে যায়। তবে জেন-এর এই মানবিক আচরণে তিনি খুবই খুশি হয়েছিলেন।
জেন ইউইংয়ের এই অভিজ্ঞতা সমাজের প্রতি তার ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও দৃঢ় করেছে। তিনি মনে করেন, মানুষের প্রতি সহানুভূতি ও সাহায্য করার মানসিকতা থাকাটা খুবই জরুরি।
এই ঘটনা প্রমাণ করে, সততা ও অন্যের প্রতি সাহায্য করার মানসিকতা এখনো সমাজে বিদ্যমান। ছোট একটি কাজও কতটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, জেন ইউইংয়ের ঘটনা তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
তথ্য সূত্র: পিপল ম্যাগাজিন-এর প্রতিবেদন অবলম্বনে।
