মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানার নিউ অরলিন্স শহরের একটি কারাগার থেকে গত মাসে দশ জন কয়েদি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যে সাত জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কারাগার থেকে কয়েদিদের পালিয়ে যেতে সহায়তা করার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্তে জানা গেছে পালানোর এই পরিকল্পনাটি বেশ সুসংগঠিত ছিল এবং এর পেছনে ছিল সুদূরপ্রসারী চক্রান্ত।
নিউ অরলিন্সের অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে। তদন্তকারীরা কারাগারের ভেতরের বিভিন্ন কথোপকথন, বিশেষ করে ফোন রেকর্ডগুলো খতিয়ে দেখছেন।
তাদের ধারণা, এই ঘটনায় আরও কারারক্ষী ও কয়েদি জড়িত থাকতে পারে।
জানা গেছে, গত ১৬ই মে এই দশ জন কয়েদি কারাগার থেকে পালিয়ে যায়। এর মধ্যে পাঁচ জনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পলাতক আসামিরা হলো জারমেইন ডোনাল্ড, ডেরিক গ্রোভস, অ্যান্টনি ম্যাসি, লিও টেট এবং লেন্টন ভ্যানবুরেন। এছাড়া, কয়েদিদের পালাতে সহায়তার অভিযোগে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের বিস্তারিত পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
তদন্তকারীরা মনে করছেন, পালানোর সময় কয়েদিদের অন্যান্য কয়েদিরা সাহায্য করেছে। তারা দেয়ালের একটি গোপন পথ তৈরি করে এবং সেই পথটি ঢাকার জন্য বাথরুমের কমোডটি আবার আগের জায়গায় স্থাপন করে।
এছাড়াও, সেল থেকে বের হওয়ার জন্য তারা বৈদ্যুতিক ট্রিমার ব্যবহার করে দেয়ালের কিছু অংশ কাটে।
এই ঘটনার জেরে কারাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয় কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণে এমনটা হয়েছে কিনা, সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের গভর্নর জেফ ল্যান্ড্রি এই ঘটনার পর জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। কারা বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তের জন্য একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে।
নিউ অরলিন্স শহরের শেরিফ সুসান হাটসন এই ঘটনার জন্য দায় স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে তিনি এটাও উল্লেখ করেছেন যে, কারাগারে কর্মরত কিছু ব্যক্তির যোগসাজশ ছিল। এই ঘটনার কারণে তিনি আসন্ন নির্বাচনে তার প্রার্থিতা স্থগিত করেছেন।
তথ্য সূত্র: সিএনএন