মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সাথে বাণিজ্য আলোচনা আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শুরুতে তিনি শুল্ক আরোপের হুমকি দিলেও, পরে সুর নরম করে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আগ্রহ দেখিয়েছেন।
এই সিদ্ধান্ত বিশ্ব অর্থনীতিতে নতুন করে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে, কারণ ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতি প্রায়ই অপ্রত্যাশিতভাবে পরিবর্তিত হয়।
খবর অনুযায়ী, গত সপ্তাহে ট্রাম্প ইইউ থেকে আমদানির উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা বলেছিলেন। তবে, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লিয়েনের সাথে আলোচনার পর তিনি তাঁর অবস্থান পরিবর্তন করেন।
দুই নেতার মধ্যে আলোচনার ফলস্বরূপ, আগামী ৯ই জুলাই পর্যন্ত বাণিজ্য আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
আলোচনা প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, “ভন ডের লিয়েন আলোচনা চালিয়ে যেতে আগ্রহী। আমাদের মধ্যে খুবই ভালো আলোচনা হয়েছে।” তিনি আরও জানান, খুব দ্রুতই তারা কিভাবে একটি সমাধানে আসা যায়, সেই বিষয়ে কাজ শুরু করবেন।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রধানও জানান, ট্রাম্পের সাথে তাঁর “ভালো আলোচনা” হয়েছে এবং ইইউ দ্রুত পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। এর আগে, এপ্রিল মাসে ট্রাম্প ৯০ দিনের মধ্যে ইইউ-এর সাথে বাণিজ্য আলোচনার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন।
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত বিশ্ববাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, বাণিজ্য যুদ্ধের সম্ভাবনা দেখা দিলে, তা বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এর প্রভাব আরো বেশি হতে পারে, কারণ বাণিজ্য শুল্কের কারণে অনেক পণ্যের দাম বেড়ে যেতে পারে এবং সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই যুক্তরাজ্য এবং চীনের সাথে বাণিজ্য আলোচনা শুরু করেছে। যদিও এই পদক্ষেপগুলো বাজারকে কিছুটা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করেছে, তবে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি পরিবর্তনের কারণে অনিশ্চয়তা এখনো কাটেনি।
বাণিজ্য নিয়ে এমন অপ্রত্যাশিত সিদ্ধান্তের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে যে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে, তা বিভিন্ন দেশের জন্য উদ্বেগের কারণ।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা