ইরমা থমাস: সঙ্গীতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, যিনি জয় করেছেন বর্ণবৈষম্য ও পেয়েছেন নতুন খ্যাতি
সংগীতের জগতে “সোল কুইন অফ নিউ অরলিন্স” নামে পরিচিত ইরমা থমাস। ৮৪ বছর বয়সেও তিনি গানের মাধ্যমে জয় করে চলেছেন শ্রোতাদের হৃদয়।
জীবনের কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে, বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে, কীভাবে তিনি আজও সঙ্গীত জগতে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো জ্বলছেন, সেই গল্প শুনবো আজ।
লুইজিয়ানার পঞ্চাতোলা শহরে জন্ম নেওয়া ইরমা শৈশবেই মা-বাবার সঙ্গে নিউ অরলিন্সে চলে আসেন।
কৈশোরেই মা হওয়ার কারণে পড়াশোনায় ছেদ পরে। এরপর শুরু হয় জীবন সংগ্রামের নতুন অধ্যায়।
প্রথমে তিনি কাজ করতেন ডিশওয়াশার হিসেবে, পরে ওয়েট্রেসের চাকরিও করেছেন। এরই মধ্যে গানের প্রতি ভালোবাসা তাকে পরিচিত করে তোলে।
স্থানীয় একটি ক্লাবে গান গাওয়ার সুযোগ পান তিনি।
১৯৫৯ সালে, মাত্র ১৮ বছর বয়সে প্রথম হিট গান উপহার দেন ইরমা। কিন্তু খ্যাতি যেন সবসময় তার থেকে দূরে ছিল।
সত্তরের দশকে ক্যারিয়ার যখন প্রায় শেষের দিকে, সেই সময় হারিকেন ক্যাটরিনার আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় তার ঘরবাড়ি।
কিন্তু তিনি হার মানেননি। গানের প্রতি ভালোবাসা আর দৃঢ় মনোবলের কারণে তিনি আবার ফিরে আসেন সংগীতাঙ্গনে।
এই সময়ে তার জনপ্রিয় গান “টাইম ইজ অন মাই সাইড” নতুন করে আলোচনায় আসে।
পরবর্তীতে ব্ল্যাক মিরর-এর মতো জনপ্রিয় সিরিজে তার গান ব্যবহৃত হওয়ায়, তিনি নতুন করে পরিচিতি পান।
শুধু তাই নয়, বিশ্বখ্যাত ব্যান্ড রিংলিং স্টোনস-এর সাথে মঞ্চে গান করার সুযোগও পেয়েছেন তিনি।
ইরমা থমাসের গানের অনুপ্রেরণা ছিল গসপেল সংগীত।
তিনি সবসময় চেয়েছেন, গানের মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছাতে।
তার গানের কথায় সমাজের প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠে, যা আজও মানুষকে আলোড়িত করে।
সংগীতের এই কিংবদন্তী, যিনি একাধারে মা, স্ত্রী এবং শিল্পী— তিনি প্রমাণ করেছেন, ইচ্ছাশক্তি থাকলে সব প্রতিকূলতাকে জয় করা যায়।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
 
                         
                         
                         
                         
                         
                         
				
			 
				
			 
				
			 
				
			