জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘জোনাস ব্রাদার্স’-এর সদস্য কেভিন জোনাস সম্প্রতি তাঁর কর্মজীবনের উত্থান-পতন এবং মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে মুখ খুলেছেন। কনসার্ট, ভ্রমণ, দর্শকদের উন্মাদনা – এসবের মাঝেও একজন শিল্পীর মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর যে প্রভাব পড়ে, সে বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি।
পেশাগত জীবনের এই চাপ সামলাতে তিনি এখন নিয়মিত থেরাপিস্টের সাহায্য নিচ্ছেন।
দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক কনসার্ট করার পর মানসিক অবসাদ অনুভব করতেন কেভিন। বিশেষ করে কনসার্টের উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশ থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে তাঁর কষ্ট হতো। এই বিষয়গুলো তিনি তাঁর থেরাপিস্টের সঙ্গে আলোচনা করেন।
কেভিন জানান, গত বছর জোনাস ব্রাদার্সের ‘দ্য অ্যালবাম’ বিশ্ব সফরের শেষে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। প্রায় ১৩০টি কনসার্ট করার পর যখন তিনি ইউরোপ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন, তখন ফ্লাইট বিলম্বিত হওয়ায় আরও বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়েন। বাড়ি ফিরে স্ত্রী’র পরামর্শে তিনি থেরাপিস্টের কাছে যান।
এই প্রসঙ্গে তিনি তাঁর ভাই, নিক জোনাসের কথাও উল্লেখ করেন। বর্তমানে নিক ব্রডওয়ে-তে ‘দ্য লাস্ট ফাইভ ইয়ার্স’ নাটকে অভিনয় করছেন।
কেভিন মনে করেন, একজন অভিনেতা হিসেবে প্রত্যেক রাতে এই ধরনের মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে যাওয়াটা বেশ কঠিন।
কেভিন জোনাস বলেন, “আমি কল্পনাও করতে পারি না ব্রডওয়ে-তে অভিনয় করা কতটা কঠিন। কারণ, আমি যখন আমার ভাইদের সঙ্গে পারফর্ম করি, তখন আনন্দ থাকে, মজা থাকে। সেখানে কোনো মানসিক চাপ থাকে না। কিন্তু ব্রডওয়ে-তে প্রত্যেক রাতে একটা আলাদা চাপ থাকে।”
আগামী আগস্ট মাস থেকে ‘জোনাস২০’ শিরোনামে জোনাস ব্রাদার্সের নতুন একটি কনসার্ট শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এই সফরে তাঁরা তাদের পুরনো গানগুলো পরিবেশন করবেন।
কেভিন জোনাস তাঁর এই নতুন সফরের জন্য মুখিয়ে আছেন।
বর্তমানে, শিল্পী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বাড়ছে। অনেক তারকাই তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলছেন, যা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
তথ্য সূত্র: পিপল