আতঙ্কের রাত! সপ্তাহে একটি পপ-টার্ট আর ধর্ষণের শিকার, কিভাবে স্কুল শিক্ষিকাকে সব কথা জানায়?

শিরোনাম: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এক দম্পতির বিরুদ্ধে শিশুকে ধর্ষণ, মারধর ও অনাহারে রাখার অভিযোগ

যুক্তরাষ্ট্রের আরকানসাস অঙ্গরাজ্যে এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে বছরের পর বছর ধরে ধর্ষণ, মারধর এবং অনাহারে রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তদের নাম ড্যানিয়েল কেলার (৩১) ও অ্যানি কেলার (২৯)।

পুলিশের কাছে কিশোরীর দেওয়া বয়ান অনুযায়ী, ড্যানিয়েল কেলার ২০২০ সালের আগস্ট মাস থেকে মেয়েটিকে ধর্ষণ করতে শুরু করেন। নির্যাতনের শিকার মেয়েটি জানিয়েছে, তাকে সপ্তাহে মাত্র একটি পপ-tart (একটি বেকড খাদ্য) খেতে দেওয়া হতো।

এছাড়া, মারধরের পাশাপাশি, তাকে মাদক সেবন করতে বাধ্য করা হতো। একবার, অ্যানি কেলার মেয়েটিকে সঠিকভাবে থালা-বাসন ধোয়ার ‘অপরাধে’ গলায় ছুরি মেরেছিলেন।

আদালতে পেশ করা নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মেয়েটি রাতে বালিশ ও কম্বল ছাড়াই বাথরুমে ঘুমাতে বাধ্য হত। ভুক্তভোগী কিশোরী, কাউন্সেলরের কাছে তার ওপর হওয়া অত্যাচারের কথা জানায়।

এরপরই, স্কুল কাউন্সেলর বিষয়টি পুলিশকে জানান।

কিশোরী পুলিশকে জানিয়েছিল, ভয়ের কারণে সে আগে কাউকে নির্যাতনের কথা বলতে পারেনি। সে ভেবেছিল, এর জন্য সে নিজেই দায়ী।

ড্যানিয়েল কেলারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন, শিশু নির্যাতনের অনুমতি দেওয়া এবং শিশুর জীবনকে বিপন্ন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

অন্যদিকে, অ্যানি কেলারকেও শিশু নির্যাতনের অনুমতি দেওয়া এবং শিশুর জীবনকে বিপন্ন করার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও, তার বিরুদ্ধে মারধর, হত্যার হুমকি ও শরীরে মাদক প্রবেশ করানোর অভিযোগও আনা হয়েছে।

বর্তমানে, অভিযুক্তরা তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিয়েছেন কিনা, তা জানা যায়নি। তাদের কোনো আইনজীবী নিয়োগ করা হয়েছে কিনা, সে বিষয়েও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

যদি কোনো শিশু নির্যাতনের শিকার হয়, তাহলে দ্রুত স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করুন। এছাড়াও, এই ধরনের ঘটনার শিকার হওয়া কোনো ব্যক্তির জন্য মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তাও উপলব্ধ রয়েছে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *