আস্টন ভিলার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার স্বপ্নভঙ্গ, বিতর্কিত রেফারি সিদ্ধান্তের শিকার। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে (Premier League) ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে অ্যাস্টন ভিলার ম্যাচে বিতর্কিত একটি রেফারি সিদ্ধান্তের জেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে।
খেলার ফলাফল ২-০ গোলে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এর পক্ষে গেলেও, রেফারি সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছে অ্যাস্টন ভিলা কর্তৃপক্ষ। তাদের মতে, এই ভুল সিদ্ধান্তের কারণে দলের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার সম্ভাবনা নষ্ট হয়েছে।
ম্যাচের ৭৩ মিনিটে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে, যা খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেয়। ইউনাইটেড গোলরক্ষক আলতাই বায়ান্দির (Altay Bayındır) বল ধরে রাখতে ব্যর্থ হলে অ্যাস্টন ভিলার খেলোয়াড় মরগান রজার্স (Morgan Rogers) সেই বল জালে পাঠান।
কিন্তু রেফারি থমাস ব্রামাল (Thomas Bramall) বায়ান্দিরের ফাউলের বাঁশি বাজান এবং গোলটি বাতিল করেন। ভিএআর (VAR) প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই সিদ্ধান্ত যাচাই করারও কোনো সুযোগ ছিল না।
এই ঘটনার পরেই অ্যাস্টন ভিলা ক্লাব কর্তৃপক্ষ রেফারি নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তারা জানায়, ম্যাচের গুরুত্ব বিবেচনা করে আরও অভিজ্ঞ রেফারি নিয়োগ করা উচিত ছিল। ক্লাবের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, “আমরা বুঝি যে এই সিদ্ধান্তের ফলে আমাদের ফলাফলের কোনো পরিবর্তন হবে না, তবে আমরা মনে করি, গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করতে রেফারি নিয়োগের ক্ষেত্রে আরও সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।”
এই ঘটনার পরেই ইউনাইটেডের হয়ে গোল করেন আমাদ ডিয়ালো (Amad Diallo)। খেলার ৮৭ মিনিটে ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনের (Christian Eriksen) গোলে ইউনাইটেড ২-০ ব্যবধানে জয়লাভ করে।
ম্যাচে অ্যাস্টন ভিলার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজের (Emiliano Martínez) লাল কার্ড পাওয়ার কারণে দলটি ১০ জন নিয়ে খেলেছিল। খেলাটিতে ড্র অথবা জয় পেলে অ্যাস্টন ভিলা সরাসরি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করত।
কিন্তু তারা ষষ্ঠ স্থানে থেকে ইউরোপা লিগে খেলার সুযোগ পেয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা দলগুলোর জন্য বিশাল অঙ্কের আর্থিক সুবিধা থাকে।
গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা দলগুলো প্রায় ২১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৩৪ কোটি টাকা, প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরে) করে পেয়েছিল। যেখানে ইউরোপা লিগে খেলার জন্য একটি দল পায় প্রায় ৪.৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ৫৩ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা)।
এই পরিস্থিতিতে এমনটা মেনে নেওয়া কঠিন। ড্রেসিং রুমে আমরা কেউই মনে করিনি যে আমরা জিততে পারতাম। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড জয়ের যোগ্য ছিল… তবে রেফারি decision টা অবিশ্বাস্য ছিল।
আর্সেনাল, ম্যানচেস্টার সিটি, লিভারপুল এবং টটেনহ্যামের মতো দলগুলোর খেলা নিয়মিতভাবে অনুসরণ করেন বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীরা। ইউরোপীয় ফুটবলের জনপ্রিয়তা বাংলাদেশে অনেক।
তাই, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় অ্যাস্টন ভিলার সমর্থকদের হতাশ হওয়াটা স্বাভাবিক। তথ্য সূত্র: সিএনএন