ঝর্ণায় পরে ৩ বছরের শিশু! তারপর যা ঘটল…

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরকানসাস অঙ্গরাজ্যের একটি জলপ্রপাতে পরে যাওয়া তিন বছর বয়সী এক শিশুকে জীবন ফিরিয়ে দিলেন এক ‘শুভাকাঙ্ক্ষী’। গত সপ্তাহে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় শিশুটির মা জানিয়েছেন, মেয়েটি সামান্য কিছু আঁচড় ছাড়া সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে এবং তিনি ওই ব্যক্তির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে, আরকানসাসের বেলা ভিস্তার ট্যানইয়ার্ড ক্রিক নেচার ট্রেইলে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, গত ২০শে মে, মঙ্গলবার, কিয়া লিভিংস্টন তাঁর মেয়ে মেলোডিকে নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন সেখানে। মা কিয়া জানান, “আমি পাথরের উপর বসেছিলাম, আর মেলোডি বন্ধুদের সাথে একটি ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে ছিল। তারা পাথর ছুড়ছিল, আমরা তাকে বেশি কাছে যেতে নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু কিভাবে যেন তার পা পিছলে যায়, আর সে নিচে পরে যায়।”

মেলোডি প্রায় ১৫ ফুট নিচে জলপ্রপাতের পানিতে পরে যায়। কিয়া জানান, “আমি দেখি ওর বেগুনি রঙের পোশাক, আর হাতটা উপরের দিকে। আমি সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়ি। সে জলপ্রপাতের উপর থেকে নিচে পরে যাচ্ছিল, তাই আমি দ্রুত নিচে নেমে আসি, যাতে তাকে ধরতে পারি।”

কিয়া আরও জানান, কয়েকজন এগিয়ে এসে সাহায্য করতে চেয়েছিল। তিনি বলেন, “আমরা শুধু দেখছিলাম, কোথায় তাকে খুঁজে পাওয়া যায় এবং জল থেকে তোলার চেষ্টা করছিলাম, কারণ স্রোত খুব শক্তিশালী ছিল।”

ভাগ্যক্রমে, যখন তিনি এবং তাঁর বোন নিচে নামেন, তখন দেখেন একজন ‘শুভাকাঙ্ক্ষী’ ততক্ষণে মেলোডিকে জল থেকে উদ্ধার করেছেন। কিয়া আরও জানান, “যিনি আমার মেয়ের জীবন বাঁচিয়েছেন, তিনি আগেই ঝাঁপিয়ে পরেছিলেন। তারা জানিয়েছে, মেলোডিকে সিপিআর দেওয়ার প্রয়োজন হয়নি। সৌভাগ্যবশত সে একটি পাথরের খাঁজে আটকে ছিল, যে কারণে সে পানির নিচে আটকে ছিল। তিনি তাকে তুলে আনতে সক্ষম হন।”

চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মেলোডির ছোট শরীর হওয়ায় তেমন গুরুতর আঘাত লাগেনি। মেয়ের সামান্য কিছু আঁচড় লেগেছিল, যা কিয়ার কাছে একটি অলৌকিক ঘটনা। কিয়া সংবাদমাধ্যমকে জানান, “আমি তাকে হারাতে পারতাম না। সে লড়াই করেছে, আর আমি তাকে বলি, মা’কে সাথে রাখার জন্য ধন্যবাদ, কারণ সে যদি লড়াই না করত, তাহলে হয়তো ফিরতে পারত না।”

কিয়া ওই ‘শুভাকাঙ্ক্ষী’র সাহসী ভূমিকার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “তিনি আমার মেয়ের জীবন বাঁচিয়েছেন। আমরা যদি কিছু করতে পারি, তবে বলব, আপনাকে ধন্যবাদ।”

তথ্যসূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *