“টাইগার কিং”-এর তারকা জো এক্সোটিকের স্বামী, জর্জে মালডোনাডোকে মেক্সিকোতে ফেরত পাঠানোর পর নিজের জীবন নিয়ে শঙ্কিত। জর্জে সম্প্রতি মেক্সিকোর একটি রাজ্যে ফিরে এসেছেন এবং সেখানে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন।
জো এক্সোটিক, যাঁর আসল নাম জোসেফ মালডোনাডো-প্যাসেজ, এর সঙ্গে জর্জে’র বিয়ে হয়েছে। জানা গেছে, ১৯শে মে তারিখে জর্জে’কে মেক্সিকোতে ফেরত পাঠানো হয়।
বর্তমানে তিনি মেক্সিকোর উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য তামাউলিপাসে অবস্থান করছেন। সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে জর্জে’র বক্তব্য, “এখানে অনেক সংগঠিত অপরাধ সংঘটিত হয় এবং নিরাপত্তার অভাব রয়েছে।
আমি একজন পরিচিত ব্যক্তি, তাই এখন আমার অপহরণ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।”
জর্জে আরও জানান, “এখানে মাদক চক্র সক্রিয়। আমি ঘর থেকে বের হতেও ভয় পাচ্ছি।
তারা মনে করে আমার স্বামীর কারণে আমার কাছে অনেক টাকা আছে।”
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)-এর হেফাজতে নেওয়ার পর, জর্জে’র ভাগ্য নির্ধারণের জন্য একটি শুনানির আয়োজন করা হয়েছিল।
কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাকে মেক্সিকোতে ফেরত পাঠানো হয়। জো এক্সোটিক সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, তিনি এখনও তার স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি জো আবেদন জানিয়েছেন, তিনি যেন জর্জে’কে মেক্সিকোতে যেতে সাহায্য করেন। জো’র মতে, “আইসিই এজেন্টরা বুঝতে পারছিলেন না কেন তাকে এত দ্রুত ফেরত পাঠানো হলো। তার তো শুনানির দিনও নির্ধারিত ছিল।”
জো এক্সোটিক বর্তমানে কারাগারে আছেন। তিনি হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
জানা গেছে, কারাগারে থাকাকালীন সময়েই জর্জে’র সঙ্গে তার বিয়ে হয়। এর আগে, তারা অক্টোবর মাসে বাগদান করেছিলেন।
তথ্যসূত্র: পিপল