১৯ বছর বয়সে ক্যান্সারে আক্রান্ত তরুণীর মৃত্যুর আগে শেষ আকুতি!

শিরোনাম: ১৯ বছর বয়সে ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ টিকটক প্রভাবশালী আনা গ্রেস ফেলান।

আনা গ্রেস ফেলান নামের এক তরুণীর জীবনাবসান হয়েছে, যিনি ছিলেন একজন জনপ্রিয় টিকটক ইনফ্লুয়েন্সার। ১৯ বছর বয়সী আনা দীর্ঘদিন ধরে ম্যালিগন্যান্ট ব্রেইন টিউমারের সাথে লড়াই করছিলেন।

সম্প্রতি, তিনি তার অনুসারীদের উদ্দেশ্যে একটি আবেগপূর্ণ ভিডিও পোস্ট করেছিলেন, যেখানে তিনি তার শারীরিক অবস্থার অবনতি সম্পর্কে জানিয়েছিলেন এবং সকলের কাছে প্রার্থনার জন্য আবেদন করেছিলেন। এর কয়েক দিন পরেই, পরিবারের পক্ষ থেকে তার মৃত্যুর খবর জানানো হয়।

আনা, যিনি মূলত ফ্লোরিডার বাসিন্দা ছিলেন, গত বছর কলেজে যাওয়ার আগে থেকেই তার স্বাস্থ্য বিষয়ক সমস্যাগুলো নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা শুরু করেন। তার অনুসারীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৪ লক্ষ।

তিনি তার ক্যান্সার যাত্রার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছিলেন, যা অনেক মানুষকে সাহস জুগিয়েছিল। জানা গেছে আনা গ্রেড ৪-এর ম্যালিগন্যান্ট ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত ছিলেন, যা গ্লিওমা নামে পরিচিত।

চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে তিনি তার অনুসারীদের সঙ্গে তার জীবনের নানা মুহূর্ত ভাগ করে নিতেন।

আনার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “আমরা অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে আমাদের আদরের কন্যা আনা গ্রেস ফেলান, যিনি ঈশ্বরের সান্নিধ্যে গিয়েছেন।” তারা আরও জানান, “অনেকেই তার কঠিন ক্যান্সার যুদ্ধের সাক্ষী ছিলেন এবং তার বিশ্বাসের দৃঢ়তা দেখেছেন।

আমরা সকলের কাছে কৃতজ্ঞ, যারা তার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করেছেন।”

আনার পরিবারে রয়েছেন তার বাবা-মা, উইলিয়াম “বাডি” ফেলান ও নাদিন ফেলান, এবং ভাই হারপার ফেলান। এছাড়াও, তার দাদা-দাদি, চাচা-চাচী এবং অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনরা তার আত্মার শান্তি কামনা করেছেন।

আনার মৃত্যুর খবরটি শোকের সঙ্গে সঙ্গে, অনলাইনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই তার সাহস এবং জীবন-সংগ্রামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

জানা গেছে, তিনি মৃত্যুর কয়েকদিন আগেও একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন, যেখানে তিনি বলেছিলেন, “এটা একটা অলৌকিক ঘটনার মতো, কিন্তু আমি এখনও হাল ছাড়িনি।”

আনা গ্রেস ফেলান-এর এই অকাল প্রয়াণ, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের জন্য একটি গভীর বার্তা বহন করে। যেখানে জীবন যেকোনো মুহূর্তে পরিবর্তন হতে পারে, এবং কঠিন পরিস্থিতিতেও আশা হারানো উচিত নয়।

তার এই গল্প, সারা বিশ্বের মানুষের কাছে সাহস ও অনুপ্রেরণার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

তথ্যসূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *