প্রখ্যাত ব্রডওয়ে তারকা প্যাটি লুপোনের সঙ্গে অভিনেতা কেভিন ক্লাইনের সম্পর্কের কথা অনেকেরই অজানা। সত্তরের দশকে, যখন তারা দুজনেই যুবক, সেই সময়ে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠা সম্পর্ক নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন লুপোন।
৭৬ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী জানিয়েছেন, সম্পর্কটা ছিল বেশ কঠিন এবং কষ্টের।
তাদের সম্পর্কের সূত্রপাত হয় নিউ ইয়র্কের বিখ্যাত জুিলিয়ার্ড স্কুলে। সেখানে লুপোন এবং ক্লাইন দুজনেই ছিলেন শিক্ষার্থী।
লুপোন জানিয়েছেন, প্রথম দর্শনে ক্লাইনকে তার ভালো লাগেনি। তিনি বলেছিলেন, “তাকে দেখতে পিনোচ্চিওর মতো লাগতো, তার পা দুটো ছিল সরু, আর উচ্চতা বেশি হওয়ায় সুদর্শনও মনে হয়নি।
তবে সময়ের সাথে সাথে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। এক আর্ট ক্লাসে একসাথে বসে তারা একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হন।
এরপর শুরু হয় তাদের সাত বছরের এক প্রেমময় সম্পর্ক। লুপোন জানিয়েছেন, ক্লাইন ছিলেন একজন লম্পট প্রকৃতির মানুষ। তিনি যখন চাইতেন, তখনই লুপোনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেন, কিন্তু অন্য কারো প্রতি আকৃষ্ট হলে সম্পর্ক ভেঙে দিতেন।
অন্যদিকে, ক্লাইন এই সম্পর্ককে ‘কষ্টকর’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো এবং অন্যদের কাছে তারা ‘স্ট্রিংবার্গ’ নামে পরিচিত ছিলেন, যিনি তার অস্থির সম্পর্কের জন্য পরিচিত ছিলেন।
১৯৮০-এর দশকে তাদের সম্পর্কের ইতি ঘটে। ১৯৮৮ সালে লুপোন বিয়ে করেন ম্যাথিউ জনস্টনকে, আর ১৯৮৯ সালে ক্লাইন বিবাহ করেন অভিনেত্রী ফিবি কেটসকে।
পেশাগত জীবনে, তারা ১৯৭৫ সালে ব্রডওয়ের একটি মিউজিক্যাল ‘দ্য রবার ব্রাইডগ্রুম’-এ একসঙ্গে কাজ করেছেন।
লুপোন একবার বলেছিলেন, ক্লাইন ছিলেন তার জীবনের প্রথম প্রেম। তিনি আরও বলেন, “কেভিনও ভালোবাসার ক্ষেত্রে বেশ অস্থির ছিলেন, যা আমার জন্য কঠিন ছিল। তিনি আমার হৃদয়কে ক্লান্ত করে তুলেছিলেন।
যদিও তাদের সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল, তবে এখন তারা বন্ধু হিসেবে যোগাযোগ রাখেন। লুপোন জানিয়েছেন, “আমরা এখন এমন একটা জায়গায় এসেছি যেখানে আমরা একে অপরের সঙ্গে কথা বলতে পারি এবং বন্ধু থাকতে পারি। হয়তো একসঙ্গে ডেটিং করা সম্ভব নয়, তবে কেভিন এবং আমি অন্তত এখন কথা বলতে পারি।
তথ্য সূত্র: দি নিউ ইয়র্কার এবং পিপল ম্যাগাজিন।