অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া রাজ্যে এক বিরল ঘটনার সাক্ষী হলো বিশ্ব। কেলি ওয়ালশ ও ম্যাথিউ আলভেস দম্পতি, যাদের সন্তান ধারণের সম্ভাবনা খুবই কম ছিল, তাদের কোল আলো করে এসেছে তিন ফুটফুটে কন্যা সন্তান।
এদের জন্ম হয়েছে গত ২রা জানুয়ারি, রয়্যাল হোবার্ট হাসপাতালে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এই তিন কন্যা, অরোরা, নিয়ার ও মোয়ানা, জন্মগতভাবে অভিন্ন।
চিকিৎসকদের মতে, কেলির এন্ডোমেট্রিওসিস (endometriosis) এবং পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (polycystic ovary syndrome) থাকার কারণে স্বাভাবিকভাবে গর্ভধারণের সম্ভাবনা খুবই কম ছিল।
কিন্তু সব প্রতিকূলতাকে জয় করে, তারা যখন জানতে পারেন যে একসঙ্গে তিনটি সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন, তখন তাদের খুশির সীমা ছিল না।
এটা যেন সৃষ্টিকর্তারই আশীর্বাদ। আমাদের এই সুন্দর মেয়েদের পাওয়ার ভাগ্য হয়েছে।
বাচ্চাগুলোর জন্মের সময় তাদের ওজন ছিল প্রায় দেড় কিলোগ্রাম। ডাক্তাররা জানান, ৩২ সপ্তাহে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাদের পৃথিবীতে আনা হয়েছে।
জন্মের পর নবজাতকদের নিওনেটাল ও পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (ICU) রাখা হয়েছিল। বর্তমানে তারা সুস্থ আছে এবং ভালোভাবেই বেড়ে উঠছে।
মেয়েদের নামকরণের ক্ষেত্রেও রয়েছে বিশেষত্ব। অরোরা নামটি ম্যাথিউর পর্তুগিজ শিকড়ের প্রতি সম্মান জানিয়ে রাখা হয়েছে। এছাড়াও, অরোরা নামটি দক্ষিণ গোলার্ধের আকাশে প্রায়ই দেখা যাওয়া আলোকচ্ছটাকেও স্মরণ করিয়ে দেয়।
নিয়ার অর্থ ‘আত্মা’, যা কেলির আদিবাসী ঐতিহ্যের প্রতীক। আর মোয়ানা নামটি এসেছে তাদের পছন্দের ডিজনির একটি সিনেমা থেকে, যার অর্থ ‘সমুদ্র’।
বর্তমানে, কেলি ও ম্যাথিউ তাদের মেয়েদের জীবনের সুন্দর মুহূর্তগুলো টিকটকে (@tassietriplets) শেয়ার করছেন। তাদের এই যাত্রা অন্যদের কাছেও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
তারা জানান, মেয়েদের সাথে খেলাধুলা করা এবং তাদের প্রতিদিন বাইরে ঘুরতে নিয়ে যাওয়াটা তাদের কাছে এখন সবচেয়ে আনন্দের।
মেয়েরা সুখী, সুস্থ এবং সুন্দরভাবে বেড়ে উঠছে!
এই বিরল ঘটনা প্রমাণ করে, ভালোবাসা আর চেষ্টা থাকলে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। কেলি ও ম্যাথিউর এই আনন্দময় পরিবার, নিঃসন্দেহে অন্যদের কাছেও একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
তথ্য সূত্র: পিপল