ভাইরাল: প্রথম শ্রেণির টিকিটের জন্য ঘুষের চেষ্টা, হতবাক!

সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে, খ্যাতি অর্জনের জন্য বিভিন্ন ধরণের কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে। বিশেষ করে, প্রভাবশালী ব্যক্তিরা তাদের অনুসারীদের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য নিত্যনতুন এবং অপ্রত্যাশিত সব কান্ড ঘটাচ্ছেন।

সম্প্রতি, একজন মার্কিন প্রভাবশালী ব্যক্তি, যিনি মূলত ভ্রমণ বিষয়ক ভিডিও তৈরি করেন, তার প্রথম শ্রেণীর ফ্লাইটে আপগ্রেড পাওয়ার অভিনব চেষ্টা নিয়ে বেশ আলোচনা সৃষ্টি করেছেন।

পাউলার সেইডেল নামের এই প্রভাবশালী ব্যক্তি, যিনি টিকটক এবং ইউটিউবে বেশ পরিচিত, তার ভিডিওর মাধ্যমে দর্শকদের মাঝে পরিচিতি লাভ করেছেন।

তার প্রধান আকর্ষণীয় বিষয় হল কিভাবে তিনি উপহার সামগ্রী দিয়ে ফ্লাইট কর্মীদের মন জয় করে প্রথম শ্রেণীর টিকিট বাগাতে চান।

বিভিন্ন মূল্যের উপহার সামগ্রী, যেমন – চকলেট, স্টারবাক্স-এর গিফট কার্ড এবং হাতে লেখা চিঠি দিয়ে তিনি এই কাজটি করেন। তার এই প্রচেষ্টা প্রায়শই অনলাইনে বেশ সাড়া ফেলে।

পাউলার জানান, প্রথম শ্রেণীর আসনে ভ্রমণের স্বপ্ন থেকেই তিনি এই ধরণের ভিডিও তৈরি করতে অনুপ্রাণিত হয়েছেন।

আমি বিভিন্ন বিমানে ভ্রমণ করি এবং অন্যদের প্রথম শ্রেণীতে যাওয়ার চেষ্টা করতে দেখেছি। তারা খুব ভালো ব্যবহার এবং উপহার দিয়ে এটা করতে পারছিল। তাই, আমিও চেষ্টা করার সিদ্ধান্ত নিই।”

পাউলার

এই কাজে তিনি কখনো একশ ডলার (যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১১ হাজার টাকার সমান) , আবার কখনো দুইশ ডলার (প্রায় ২২ হাজার টাকা) মূল্যের উপহার সামগ্রী ব্যবহার করেন।

তবে, এই ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা সবসময় সহজ ছিল না। উপহারের জন্য কার্ড লেখা, একাধিক ব্যাগ প্রস্তুত করা এবং বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মীদের এসব উপহারের বিষয়ে বোঝানো বেশ কঠিন ছিল।

তিনি জানান, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মীদের বিষয়টি বুঝিয়ে বলাটাই তার জন্য সবচেয়ে কঠিন ছিল।

পাউলারের এই চেষ্টা সবসময় সফল না হলেও, তিনি কিছু সুবিধা পেয়েছেন।

যেমন – বিনামূল্যে পানীয় এবং বিশেষ সুবিধাসম্পন্ন কিছু সামগ্রী। একবার, জাপানে যাওয়ার সময় তিনি একজন বিমানকর্মীর কাছ থেকে বিশেষ প্রতিক্রিয়া পেয়েছিলেন।

ওই কর্মী উপহারগুলো দেখে খুব খুশি হয়েছিলেন এবং তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন।

প্রথম শ্রেণীর টিকিট পাওয়া ছাড়াও, পাউলার অন্যদের জন্য কিছু ভালো কাজ করতেও আগ্রহী।

প্রথম শ্রেণীতে উঠতে পারলে ভালো লাগবে, তবে অন্যদের জন্য কিছু করতে পারাটাও কম আনন্দের নয়।”

পাউলার

ভ্রমণ বিষয়ক ভিডিও তৈরির পাশাপাশি, পাউলার বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান।

একবার, তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার সবচেয়ে সুন্দর এলাকা লা জোলার ধনী ব্যক্তিদের বাড়িতে গিয়ে তাদের জন্য খাবার তৈরির প্রস্তাব দেন। যদিও তিনি রাঁধুনি নন, তবুও এই কাজটি করার মাধ্যমে তিনি মানুষের সঙ্গে মিশে আনন্দ পান।

সোশ্যাল মিডিয়ার এই যুগে, প্রভাবশালী ব্যক্তিরা তাদের সৃজনশীলতা দিয়ে দর্শকদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন। পাউলার সেইডেলের এই ভিন্নধর্মী প্রচেষ্টা তেমনই একটি উদাহরণ।

তথ্যসূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *