Freak Accident Burned 50% of High School Senior’s Body. It Didn’t Stop Him from Starring in Footloose (Exclusive)
জীবনের চরম এক দুর্ঘটনায় শরীরের প্রায় অর্ধেক পুড়ে গিয়েছিল, কিন্তু তাতেও দমেনি এক তরুণ। অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহতা কাটিয়ে তিনি ফিরে এসেছেন ভালোবাসার মঞ্চে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার বাসিন্দা, ১৮ বছর বয়সী জেমস কুলাত্তা, যিনি উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র, গত বছর এক মর্মান্তিক ঘটনার শিকার হন। পাহাড় ভ্রমণে গিয়ে গরম পানির ঝর্ণায় পড়ে মারাত্মকভাবে ঝলসে যায় তার শরীর।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে জেমস বলেন, “আমি তখন সম্পূর্ণ অসহায় বোধ করছিলাম। জীবনে এমন তীব্র যন্ত্রণা আগে কখনো অনুভব করিনি।”
ঘটনার পর দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানান, তার শরীরের প্রায় অর্ধেক পুড়ে গেছে।
এরপর দীর্ঘ সময় ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা চলে, যার মধ্যে ছিল একাধিক অস্ত্রোপচার।
চিকিৎসকরা যখন তার ক্ষত সারানোর চেষ্টা করছিলেন, তখন তার স্কুলের বার্ষিক নাটকের খবর আসে। খবরটি ছিল ‘ফুটলুজ’ (Footloose) মঞ্চস্থ করার প্রস্তুতি চলছে।
জেমস ছোটবেলা থেকেই গান ভালোবাসেন, নাচ করেন। মঞ্চের প্রতি তার আলাদা একটা টান ছিল।
তাই পরিবারের সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলেন, তাকে এই নাটকে অভিনয়ের জন্য উৎসাহিত করবেন।
জেমসের মা শন্ড্রা কুলাত্তা জানান, “প্রথমে এটা প্রায় অসম্ভব মনে হয়েছিল। কারণ, দুর্ঘটনার পর জেমস ভালোভাবে দাঁড়াতেও পারতেন না।”
তবে, পরিবারের অদম্য চেষ্টা এবং জেমসের ইচ্ছাশক্তি, সব প্রতিকূলতাকে জয় করে।
দীর্ঘ পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শেষে, কয়েক মাস পরেই তিনি ‘ফুটলুজ’-এর প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন।
জেমসের বাবা রিচার্ড কুলাত্তা বলেন, “ছেলেকে যখন মঞ্চে নাচতে দেখি, তখন যেন বিশ্বাসই হতে চাইছিল না! তার হাঁটু দেখে বুঝার উপায় ছিল না, কিভাবে সে এই কাজ করতে পেরেছে।”
শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও জেমসের এই ফিরে আসাটা ছিল সত্যিই অসাধারণ।
নাটকের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময় জেমসকে অনেক বন্ধুর সহযোগিতা জুটেছিল। বন্ধু এবং পরিবারের উৎসাহে তিনি নিয়মিত রিহার্সালে অংশ নিতেন।
জেমস বলেন, “আমি কখনো ভাবিনি যে, আমি সত্যিই এই চরিত্রে অভিনয় করতে পারব। তবে, এই নাটকের মাধ্যমে আমি অনেক নতুন বন্ধু পেয়েছি এবং পুরোনো সম্পর্কগুলো আরও দৃঢ় হয়েছে।”
চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে জেমস পড়াশোনায় কিছুটা পিছিয়ে পড়েছিলেন। তবে, তিনি খুব দ্রুত সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেন।
বর্তমানে তিনি তার শিক্ষা জীবন চালিয়ে যাচ্ছেন এবং ভবিষ্যতে শারীরিক থেরাপিস্ট (physical therapist) হতে চান, যাতে অন্য অগ্নিদগ্ধ রোগীদের সাহায্য করতে পারেন।
জেমস বলেন, “যদি নিজের উপর বিশ্বাস থাকে, তাহলে সবকিছুই সম্ভব। বন্ধু এবং পরিবারের ভালোবাসাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় শক্তি।”
জেমসের এই ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প শুধু তার একার নয়, বরং এটি সাহস ও অনুপ্রেরণার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করে কীভাবে স্বপ্ন পূরণ করা যায়, জেমসের জীবন তারই প্রমাণ।
তথ্য সূত্র: পিপল