বিনামূল্যে নাক সুন্দর করতে গিয়ে তরুণীর জীবনে ভয়ঙ্কর পরিণতি!

নাক সার্জারি: বিনামূল্যে সৌন্দর্য্যের মোহে পরে কিভাবে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ হল?

সোশ্যাল মিডিয়াতে আজকাল সৌন্দর্য্যের সংজ্ঞা যেন প্রতিনিয়ত বদলায়। আর এই পরিবর্তনের হাওয়া লাগে আমাদের জীবনযাত্রায়ও। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে নিজেদের চেহারায় সামান্য পরিবর্তন আনার প্রবণতা বাড়ছে, বিশেষ করে নাক নিয়ে অনেকেরই কিছু না কিছু অসন্তুষ্টি থাকে।

সম্প্রতি এমনই এক ঘটনার শিকার হয়েছেন ইসাবেল লাক্স নামের একজন প্রভাবশালী (Influencer)। বিনামূল্যে নাক সার্জারি করানোর ফলস্বরূপ পরবর্তীতে তাকে প্রায় ২৬ হাজার ডলার (যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৮ লক্ষ টাকার সমান) খরচ করতে হয়েছে, নাকের আগের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে।

আসলে, ইসাবেলের নাকের গঠন নিয়ে তেমন কোনো সমস্যা ছিল না। কিন্তু ২১ বছর বয়সে তিনি জানতে পারেন যে তার নাকের ভেতরের হাড় সামান্য বাঁকা (deviated septum) ছিল। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, এই সমস্যার সমাধানে সেপ্টোপ্লাস্টি (septoplasty) নামক একটি অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

যেহেতু স্বাস্থ্য বীমার আওতায় এই অস্ত্রোপচার বিনামূল্যে করার সুযোগ ছিল, তাই তিনি একইসঙ্গে নাক সামান্য সুন্দর করারও আগ্রহ প্রকাশ করেন।

সোশ্যাল মিডিয়াতে বিনামূল্যে নাক সার্জারির বিষয়টি বেশ পরিচিত। ইসাবেলও তেমনটাই ভেবেছিলেন। অস্ত্রোপচারের সময় ডাক্তাররা তার নাকের বাইরের গড়নে সামান্য পরিবর্তন আনেন। অস্ত্রোপচারের পর প্রথম দিকে সবকিছু স্বাভাবিকই ছিল। কিন্তু এক বছর যেতে না যেতেই তার নাকের একটি দিক ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যেতে শুরু করে। বিষয়টি ইসাবেলের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

সমস্যা সমাধানে তিনি যখন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেন, তখন জানা যায় নাকের ভেতরের কিছু ত্রুটির কারণে এমনটা হয়েছে। নাকের আগের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে তাকে আবার একটি অস্ত্রোপচার করাতে হয়, যার খরচ হয় প্রায় ২৬ হাজার ডলার। ইসাবেলের ভাষায়, “প্রথমে বিনামূল্যে পাওয়া গেলেও, শেষ পর্যন্ত নাকের আগের রূপ ফেরাতে অনেক বেশি খরচ করতে হয়েছে।”

এই ঘটনার পর ইসাবেল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন এবং অন্যদের সতর্ক করেছেন। তিনি বিশেষভাবে подчерপ করে বলেছেন, “বিনামূল্যে পাওয়া যাচ্ছে বলে কোনো অস্ত্রোপচার করানোর আগে ভালো করে সবকিছু জেনে নেওয়া উচিত। বিশেষ করে, অস্ত্রোপচারটি কাদের দ্বারা করা হচ্ছে এবং এর সম্ভাব্য ঝুঁকিগুলো কি কি, সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।”

ইন্টারনেটের যুগে, তথ্যের অভাব নেই। কিন্তু নির্ভরযোগ্য তথ্যের অভাব রয়েছে। তাই, কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া এবং বিস্তারিত গবেষণা করা অত্যন্ত জরুরি। ইসাবেলের অভিজ্ঞতা আমাদের সকলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা।

তথ্য সূত্র: People

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *