চীনের শহর শেনজেন দ্রুত বর্ধনশীল ধনী কেন্দ্র হিসেবে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি লাভ করেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে ‘হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স’ এবং ‘নিউ ওয়ার্ল্ড ওয়েলথ’ নামক দুটি সংস্থা। তাদের ‘বিশ্বের সবচেয়ে ধনী শহরগুলির তালিকা’ শীর্ষক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে শেনজেনের এই সাফল্যের কাহিনী।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেনজেন এখন প্রযুক্তিখাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। এখানে হুয়াওয়ে, টেনসেন্ট, বিওয়াইডি, ডিজেআই এবং জেডটিই-এর মতো বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর সদর দপ্তর অবস্থিত।
এই কারণে গত দুই দশকে শহরটির অর্থনীতি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে, শহরটিতে ২২২ জন বিলিওনেয়ার, ১৫৬ জন ‘সেন্টিমিলিয়নেয়ার’ এবং ৫০,০০০ এর বেশি মিলিয়নিয়ার বসবাস করেন।
‘সেন্টিমিলিয়নেয়ার’ বলতে বোঝানো হয়, যাদের সম্পদের পরিমাণ ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা তার বেশি।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের স্কটসডেল শহরও দ্রুত ধনী কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। গত এক দশকে শহরটিতে মিলিয়নেয়ারের সংখ্যা ১২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বর্তমানে স্কটসডেলে ১৪,৮০০ জন মিলিয়নেয়ার, ৬৪ জন ‘সেন্টিমিলিয়নেয়ার’ এবং ৫ জন বিলিওনেয়ার রয়েছেন।
এছাড়াও, শীর্ষ ধনী কেন্দ্রগুলির মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের বেঙ্গালুরু শহর। তালিকার চতুর্থ এবং পঞ্চম স্থানে আছে যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট পাম বিচ এবং চীনের হ্যাংজু শহর।
প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামি, ওয়াশিংটন ডিসি এবং অস্টিন শহরও গত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক উন্নতি করেছে। এই শহরগুলোতেও প্রচুর পরিমাণে ধনী মানুষের বসবাস।
শেনজেনের এই অভূতপূর্ব উত্থান বিশ্ব অর্থনীতির গতিপ্রকৃতির একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। প্রযুক্তি খাতের দ্রুত বিকাশ এবং উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনার কারণে শহরটি দ্রুত ধনী মানুষের আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে।
এই ধরনের অর্থনৈতিক পরিবর্তন বিশ্বজুড়ে সম্পদ বণ্টনের চিত্রটি আরও স্পষ্ট করে তোলে।
তথ্যসূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লেজার