গিলিয়ান ফ্লিন, যিনি তাঁর লেখা গল্পগুলোকে বই থেকে রুপালি পর্দায় ফুটিয়ে তোলার জন্য সুপরিচিত, তাঁর কাজ নিয়ে কথা বলেছেন। তাঁর উপন্যাস ‘গার্ল’ এবং ‘শার্প অবজেক্টস’ চলচ্চিত্র এবং টিভি সিরিজে রূপান্তরিত হয়েছে, যা দর্শকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
লেখক হিসেবে তাঁর অভিজ্ঞতা এবং চিত্রনাট্য লেখার মধ্যেকার পার্থক্য নিয়ে তিনি খোলামেলা আলোচনা করেছেন।
উপন্যাস থেকে চিত্রনাট্যে কাজ করাটা সহজ ছিল না ফ্লিনের জন্য। তিনি জানান, উপন্যাস লেখার সময় চরিত্রের ভেতরের চিন্তাগুলো তুলে ধরার সুযোগ থাকে, যা চিত্রনাট্যে সরাসরি থাকে না।
সেখানে সংলাপ বা ঘটনার মাধ্যমে সেই ভাবনাগুলো প্রকাশ করতে হয়। এই পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে তিনি সকালে উপন্যাস এবং বিকালে চিত্রনাট্যের কাজ করতেন, যাতে দুই ধরনের কাজের মধ্যে মানসিক একটা দূরত্ব বজায় থাকে।
ফ্লিন তাঁর বাবার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, যিনি ছিলেন একজন চলচ্চিত্র অধ্যাপক।
বাবার সিনেমাপ্রেমি হওয়ার কারণে ছোটবেলা থেকেই চলচ্চিত্রের প্রতি তাঁর আগ্রহ তৈরি হয়। বাবার সঙ্গে নিয়মিত সিনেমা দেখতে যাওয়া এবং ছবিগুলো নিয়ে আলোচনা করার ফলে চলচ্চিত্রের জগৎটা তাঁর কাছে পরিচিত ছিল।
‘গন গার্ল’ চলচ্চিত্রের অভিজ্ঞতা ছিল ফ্লিনের জন্য দারুণ।
বইয়ের ‘কার্থেজ’-এর বাস্তব রূপ দেখতে পাওয়াটা তাঁর কাছে “অসাধারণ” লেগেছিল। পরিচালক ডেভিড ফিঞ্চারের কাজেরও প্রশংসা করেন তিনি, যিনি বইটির প্রতি সম্মান দেখিয়েছিলেন।
‘শার্প অবজেক্টস’-এর চিত্রনাট্য লেখার সময় তিনি বিশেষভাবে সেই পর্বগুলো তৈরি করতে মনোযোগ দিয়েছিলেন, যা তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। অভিনেত্রী অ্যামি অ্যাডামস চরিত্রটিকে ফুটিয়ে তুলেছিলেন অসাধারণভাবে।
চিত্রনাট্য লেখার একটি সুবিধা হল, এখানে অন্যদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ থাকে।
বই লেখার একাকীত্ব থেকে এটি মুক্তি দেয়। যদিও চিত্রনাট্য লেখার ক্ষেত্রে স্টুডিওর মতামত, বাজেট সমস্যা, এবং শিল্পী নির্বাচন-এর মতো বিষয়গুলো মোকাবেলা করতে হয়।
তবে, সবশেষে এই কাজটি সৃজনশীলতার একটা দারুণ দিক।
বর্তমানে ফ্লিন তাঁর উপন্যাস ‘ডার্ক প্লেসেস’-এর চিত্রনাট্য নিয়ে কাজ করছেন, যা এইচবিও-তে সিরিজ আকারে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
যদিও বইটি তিনি নিজে পুনরায় পড়েন না, তবে চিত্রনাট্য লেখার সময় তাঁর পুরনো কাজটি নতুন করে দেখতে হচ্ছে।
তথ্যসূত্র: পিপল