সায়রেনস: শুটিংয়ের সময় বেলে’স পলসিতে আক্রান্ত লরেন উইডম্যান, তারপর যা ঘটল!

অভিনেত্রী লরেন উইডম্যানের জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, যখন তিনি “সাইরেনস” নামক নেটফ্লিক্স সিরিজে কাজ করছিলেন। এই সময়ে তিনি ‘বেল’স পালসি’ নামক একটি স্নায়ু-সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত হন, যা মুখের পেশীকে দুর্বল করে দেয়।

তবে, এই কঠিন পরিস্থিতিকে তিনি ভয় পাননি, বরং তার চরিত্রটিকে আরও গভীরতা দেওয়ার জন্য একে কাজে লাগিয়েছেন।

এই সিরিজে লরেন উইডম্যান ‘প্যাট্রিস’ নামের একটি চরিত্রে অভিনয় করেন, যিনি একটি ধনী পরিবারের রাঁধুনি। যখন তার স্বাস্থ্য খারাপ হতে শুরু করে, তখন তিনি প্রযোজক এবং পরিচালক-এর সাথে কথা বলেন।

তাদের আলোচনার ফলস্বরূপ, তার অসুস্থতা চরিত্রটির গল্পের একটি অংশে পরিণত হয়।

বেল’স পালসি হলো মুখের স্নায়ুগুলির সাময়িক দুর্বলতা বা পক্ষাঘাত। এর ফলে মুখের একদিকে দুর্বলতা দেখা যায় এবং হাসতে বা চোখের পাতা ফেলতে সমস্যা হতে পারে।

লরেন উইডম্যান এর আগেও একবার এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তবে এবার তার উপসর্গগুলো আরও গুরুতর ছিল।

এই ঘটনার পরে, “সাইরেনস”-এর নির্মাতারা লরেনের চরিত্রটিকে বিশেষভাবে ডিজাইন করেন। তারা চেয়েছিলেন লরেন যেন কাজটি চালিয়ে যেতে পারেন এবং তার অসুস্থতাকে লুকানোর পরিবর্তে গল্পের একটি অংশ হিসেবে ফুটিয়ে তোলা যায়।

নির্মাতাদের এই সিদ্ধান্ত লরেনের প্রতি তাদের সম্মান ও সহানুভূতির প্রমাণ। তিনি শুধু একজন অভিনেত্রীই নন, বরং তাদের কাছে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন, এবং তারা তাকে ছাড়া কাজটি সম্পন্ন করার কথা ভাবতেই পারেননি।

লরেন উইডম্যানের এই অভিজ্ঞতা শুধু তার অভিনয় জীবনের একটি অংশ নয়, বরং এটি আমাদের দেখায় কীভাবে একজন মানুষ প্রতিকূলতাকে জয় করতে পারে। এমনকি তার ছেলে লিওও মজা করে বলেছিলেন, “মা, এটা তো কোনো ব্যাপারই না। এটা তোমার বেল’স পালসির যুগ, এই তো!”

পরবর্তীতে, তিনি যখন ‘হ্যাকস’ এবং ‘অ্যাবট এলিমেন্টারি’-এর মতো অন্যান্য সিরিজে কাজ করেছেন, তখনও তার এই অসুস্থতাকে চরিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। “অ্যাবট এলিমেন্টারি”-এর নির্মাতা কুইন্টা ব্রুনসন বলেছেন, “আমার মনে হয়, এর মাধ্যমে তিনি অন্যরকম কিছুকে স্বাভাবিক করে তুলেছেন… লরেনের এই পরিস্থিতির মোকাবেলা করাটা তার চরিত্রের সঙ্গে মানানসই। তিনি সব পরিস্থিতিতে হাসিমুখে কাজ করেন।”

এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, একজন শিল্পী তার দুর্বলতাকেও কীভাবে তার কাজের অংশ করে তুলতে পারেন এবং দর্শকদের কাছে আরও বেশি পরিচিত হতে পারেন। লরেন উইডম্যানের এই সাহস এবং সৃজনশীলতা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *