হঠাৎ মুক্তি! ট্রাম্পের ক্ষমায় জেল থেকে ফিরলেন রিয়েলিটি তারকা দম্পতি

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, প্রতারণা ও কর ফাঁকির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়া রিয়েলিটি টিভি তারকা, টড এবং জুলি ক্রিসলিকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। এই ঘটনার জেরে তাঁরা কারাভোগের পর মুক্তি পেয়েছেন। বুধবার (তারিখ উল্লেখ করা হয়নি) এই খবর প্রকাশিত হয়।

টড ও জুলি ক্রিসলি “ক্রিসলি নোজ বেস্ট” নামক একটি জনপ্রিয় টিভি সিরিজের মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করেন, যেখানে তাঁদের পরিবারের বিলাসবহুল জীবনযাত্রা চিত্রিত করা হতো। প্রসিকিউটরদের মতে, ব্যাংক ঋণ নিয়ে প্রতারণা এবং কর ফাঁকির মাধ্যমে এই বিলাসী জীবনধারা বজায় রাখা হতো।

২০২২ সালে আটলান্টা অঞ্চলের ব্যাংক থেকে ৩০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি ঋণ পেতে জাল কাগজপত্র জমা দেওয়ার অভিযোগে ক্রিসলি দম্পতিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এই মামলার রায় ঘোষণার পরে তাঁদের বেশ কয়েক বছর কারাদণ্ডের সাজা হয়েছিল। জুলি ক্রিসলির ২০২৮ সাল পর্যন্ত এবং টড ক্রিসলির ২০৩২ সাল পর্যন্ত কারাবাসের কথা ছিল।

এই ক্ষমা ঘোষণা ট্রাম্পের একটি পরিচিত চিত্র। এর আগে তিনি তাঁর বন্ধু, সমর্থক, এবং অনুগতদের বিভিন্ন সময়ে ক্ষমা করেছেন।

ক্রিসলি দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তাঁরা ব্যাংক থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ গ্রহণ করেছেন এবং সেই অর্থ বিলাসবহুল জীবনযাত্রায় ব্যয় করেছেন। এছাড়াও, তাঁরা একটি কোম্পানির মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ গোপন করে প্রায় ৫ লক্ষ ডলার কর ফাঁকি দিয়েছেন।

ক্রিসলিদের আইনজীবী অবশ্য দাবি করেছিলেন, বিচার চলাকালীন একজন আইআরএস কর্মকর্তা মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছেন এবং প্রসিকিউটরদের কাছে তাঁদের দোষ প্রমাণ করার মতো যথেষ্ট প্রমাণ ছিল না। কিন্তু আপিলের শুনানিতে তাঁদের সাজা বহাল থাকে।

ক্রিসলিদের মুক্তি প্রসঙ্গে তাঁদের মেয়ে সাভানা ক্রিসলি ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন জানান এবং তাঁর বাবা-মায়ের মুক্তির জন্য আবেদন করেন। তিনি এক বক্তব্যে বলেন, “আমার পরিবারকে তাদের পরিচিতি এবং রক্ষণশীল বিশ্বাসের কারণে অন্যায়ভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।

সাভানা আরও বলেন, এই মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল। তিনি সাবেক মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল এড মার্টিনকে ধন্যবাদ জানান, যিনি ট্রাম্পকে ক্ষমা সংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছিলেন। সাভানা জানান, তাঁর পরিবার এখন একসঙ্গে সময় কাটানোর পরিকল্পনা করছে।

ট্রাম্প এই বিষয়ে বলেন, “আমার মনে হয়, তাঁদের সঙ্গে খুব কঠোর আচরণ করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে প্রেসিডেন্টের ক্ষমা প্রদর্শনের ব্যাপক ক্ষমতা রয়েছে। এই ধরনের ক্ষমার বিরুদ্ধে কোনো আদালত বা সরকারি কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই।

তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *