মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আইনি লড়াইয়ে জয়ী হয়েছে নিউ ইয়র্কের একটি ছোট ওয়াইন কোম্পানি। ভস সিলেকশনস নামের এই পারিবারিক ব্যবসাটি ট্রাম্পের সময়ে চীন, কানাডা, মেক্সিকো সহ বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর আরোপিত শুল্কের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল।
সম্প্রতি, মার্কিন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আদালত এক গুরুত্বপূর্ণ রায়ে ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে অবৈধ ঘোষণা করে।
ভস সিলেকশনসের প্রতিষ্ঠাতা ভিক্টর শোয়ার্টজ-এর মতে, এই জয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জানান, ৪০ বছর আগে যখন তিনি ব্যবসা শুরু করেন, তখন এমন পরিস্থিতির কথা স্বপ্নেও ভাবেননি।
শুল্ক নীতির কারণে তাদের ব্যবসা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, যা টিকে থাকার ক্ষেত্রে হুমকি স্বরূপ ছিল।
আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, ট্রাম্প জরুরি অর্থনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে যে ব্যাপক শুল্ক আরোপ করেছিলেন, তা তার এখতিয়ারের বাইরে ছিল। এই রায়ের ফলে ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতির বড় ধরনের পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
যদিও এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করার ঘোষণা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন, ফলে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়াতে পারে।
এই মামলার প্রধান আইনজীবী ছিলেন লিবার্টি জাস্টিস সেন্টারের জেফরি সোয়াব। তিনি বলেন, শুধু অর্থনৈতিক প্রভাবের কারণেই নয়, বরং প্রশাসনের ক্ষমতা প্রদর্শনের প্রবণতার কারণেও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলা।
আদালতের এই রায়ের ফলে বিশ্বজুড়ে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং ভোক্তাদের ওপর প্রভাব পড়বে। বিশেষ করে ছোট ব্যবসায়ীরা, যারা বড় কোম্পানির মতো আর্থিক সুবিধা পায় না, তাদের জন্য এটি একটি স্বস্তিদায়ক খবর।
ভিক্টর শোয়ার্টজ মনে করেন, এই রায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য একটি বড় জয়।
এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে, বিশ্ব বাণিজ্য এবং শুল্ক নীতি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের নীতি পরিবর্তনের ফলে বিভিন্ন দেশের আমদানি-রপ্তানি এবং স্থানীয় বাজারে পণ্যের দামে প্রভাব পড়তে পারে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন