গাজায় মানবিক ত্রাণ বিতরণের সময় খাদ্য সংগ্রহের জন্য আসা মানুষের উপর ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ৭ জন শিশুও রয়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য গুদামে ত্রাণ সংগ্রহের সময় হুড়োহুড়িতে পদদলিত হয়ে ২ জন নিহত হয়েছে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (World Food Programme) জানিয়েছে, গাজায় খাদ্য সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।
গাজায় অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনিদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধির পর ইসরায়েল কিছু ত্রাণ সরবরাহের অনুমতি দিলেও, সাহায্য সংস্থাগুলো বলছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সামান্য।
জাতিসংঘের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ সমন্বয়কারী সিগরিদ কাগ নিরাপত্তা পরিষদে বলেছেন, গাজায় দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির মধ্যে ইসরায়েলের দেওয়া ত্রাণ ‘যেন জাহাজডুবির পর একটি লাইফবোট’।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন বলেছেন, তারা জাতিসংঘ এবং একটি বেসরকারি সাহায্য সংস্থার মাধ্যমে ত্রাণ সরবরাহ করতে দেবে।
তবে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই বেসরকারি সাহায্য পরিকল্পনা নিরপেক্ষ নয়। জাতিসংঘের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জোনাথন হুইটল বলেছেন, এই পরিকল্পনা মানবিক নীতির লঙ্ঘন। কারণ এর মাধ্যমে গাজায় বসবাসকারীদের এলাকা ছাড়তে বাধ্য করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বুরাইজ শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছে।
ত্রাণ বিতরণের সময় গাজা মানবিক সহায়তা ফাউন্ডেশন (Gaza Humanitarian Foundation)-এর কাছে সাহায্যপ্রার্থীদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে।
ফাউন্ডেশনটি জানিয়েছে, তারা মঙ্গলবার ও বুধবার প্রায় ৮ লক্ষ ৪০ হাজার খাবারের সমপরিমাণ ত্রাণ বিতরণ করেছে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা