এলোন মাস্ক: কেন হঠাৎ সরকারি পদ ছাড়লেন?

এলোন মাস্ক, যিনি একজন সুপরিচিত প্রযুক্তি উদ্যোক্তা, সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি দপ্তর থেকে বিদায় নিচ্ছেন। তিনি দেশটির সরকারে বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করতেন এবং সরকারি ব্যয় সংকোচনের লক্ষ্যে গঠিত ‘ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’ (DOGE)-এর প্রধান ছিলেন।

মাস্কের এই পদ থেকে সরে যাওয়ার খবরটি জানা যায় তিনি সামাজিক মাধ্যম ‘এক্স’-এ (সাবেক টুইটার) একটি পোস্ট করার মাধ্যমে।

মাস্কের এই বিদায়ের কারণ হিসেবে জানা যায়, বিশেষ সরকারি কর্মচারী হিসেবে তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে আসছিল। তিনি তার পোস্টে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান, যিনি তাকে সরকারি অপচয় কমানোর সুযোগ করে দিয়েছিলেন।

মাস্ক আরও উল্লেখ করেন যে, DOGE-এর লক্ষ্য সময়ের সাথে আরও শক্তিশালী হবে এবং এটি সরকারের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হবে।

তবে মাস্কের এই বিদায়ের কারণ হিসেবে কেবল সময়সীমা শেষ হওয়াকে দেখা হচ্ছে না। জানা যাচ্ছে, তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের সাম্প্রতিক কিছু নীতি নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন।

বিশেষ করে, নতুন বাজেট বিষয়ক একটি আইনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এটি বাজেট ঘাটতি বাড়াবে এবং DOGE-এর কাজকে দুর্বল করে দেবে।

মাস্কের মতে, এই আইন সরকারি ব্যয়ের লক্ষ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, DOGE-কে প্রায়ই এমন সব সমস্যার জন্য দায়ী করা হচ্ছে, যেগুলোর সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।

মাস্ক মনে করেন, সরকারি আমলাতন্ত্রের অবস্থা তিনি যা ভেবেছিলেন, তার চেয়ে অনেক বেশি কঠিন।

আগে খবর পাওয়া গিয়েছিল, হোয়াইট হাউসের অভ্যন্তরীণ কিছু মহলে মাস্ককে নিয়ে রাজনৈতিক দুর্বলতা দেখা যাচ্ছিল। এমনও শোনা গিয়েছিল যে, তিনি হয়তো সরকারে তার ভূমিকা কমিয়ে দেবেন এবং ব্যবসায় মন দেবেন।

যদিও ভাইস প্রেসিডেন্ট জে.ডি. ভ্যান্স জানিয়েছেন, মাস্ক প্রেসিডেন্ট ও তার উভয়েরই বন্ধু ও উপদেষ্টা হিসেবে থাকবেন।

এই ঘটনার মাধ্যমে একটি বিষয় স্পষ্ট হয় যে, সরকারি নীতি এবং তার বাস্তবায়নে বিভিন্ন ব্যক্তির মধ্যে মতপার্থক্য থাকতে পারে। মাস্কের এই বিদায় মার্কিন সরকারের কর্মপরিবেশে পরিবর্তন আনবে, এমনটা ধারণা করা হচ্ছে।

তথ্য সূত্র: People

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *