ভাগ্য সবসময় কারও দরজায় কড়া নাড়ে না, তবে কারও কারও ক্ষেত্রে অপ্রত্যাশিতভাবে এসে ধরা দেয়। এমনই এক ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের হানোভারের এক নারী।
লটারির টিকিট কেনার ‘অনুভূতি’ অনুসরণ করে তিনি জিতেছেন বিশাল অঙ্কের পুরস্কার। তার এই অপ্রত্যাশিত জয় এখন আলোচনার বিষয়।
খবর অনুযায়ী, ওই নারী মেরিল্যান্ড লটারির একটি টিকিট কিনেছিলেন এবং তার পুরস্কার মূল্য ছিল ১ লক্ষ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি টাকার সমান।
নিজের পরিচয় গোপন রাখতে চাওয়া এই নারী জানান, টিকিট কেনার সময় তিনি ভেতরের এক তাড়না অনুভব করেছিলেন।
সেই অনুভূতির ওপর ভরসা করেই তিনি লটারির টিকিট কেনেন।
ঘটনার সূত্রপাত কয়েক মাস আগে, যখন তিনি ও তার বাগদত্তা মিলে বেশ কয়েকটি ছোট পুরস্কার জিতেছিলেন।
এরপর তারা খেলা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু কিছুদিন পর, সম্ভবত তার ভেতরের কণ্ঠস্বর তাকে আবার চেষ্টা করতে বলে।
তিনি বলেন, “একদিন, অফিস থেকে ফেরার পথে, আমি এমনিতেই একটি দোকান বেছে নিলাম।”
সৌভাগ্যক্রমে, তিনি যে দোকানে গিয়েছিলেন, সেখানে তার পছন্দের লটারি টিকিটের স্টক কম ছিল।
তাই তিনি অন্য একটি টিকিট বেছে নেন, যার নাম ছিল ‘৫,০০০,০০০ ফরচুন’। টিকিটটি ছিল ৫০ ডলারের।
তিনি জানান, টিকিট কিনে সঙ্গে সঙ্গে দোকানে ঘষেননি।
বরং বাড়ি ফিরে রাতের খাবারের পর তিনি তার বাগদত্তাকে বলেছিলেন, “আমাদের ভাগ্য খুব শীঘ্রই পরিবর্তন হতে যাচ্ছে, আমরা প্রায় ৫ মিলিয়ন ডলার জিততে চলেছি!”
এরপর টিকিট ঘষতেই তার কথা ফলে যায়।
এই বিপুল পরিমাণ অর্থ কিভাবে খরচ করবেন, জানতে চাইলে তিনি জানান, তারা খুব শীঘ্রই বিয়ের পরিকল্পনা করছেন এবং এই অর্থের কিছুটা তাদের বিবাহ আয়োজনে ব্যয় হবে।
এছাড়াও, তারা একটি বিশেষ সি-ফুড ডিনার উপভোগ করতে পারেন।
তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, তিনি তার মায়ের স্বাস্থ্যসেবার জন্য এই অর্থ ব্যবহার করবেন এবং বাকিটা সঞ্চয় করবেন।
লটারি খেলা চালিয়ে যাবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, “অবশ্যই! যখন আমার সেই অনুভূতি হবে, আমি আবারও চেষ্টা করব।”
তথ্য সূত্র: পিপলস