ট্রাম্পকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে অনুতপ্ত মাস্ক!

এলোন মাস্ক, যিনি বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী এবং টেকনোলজি জগতের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব, সম্প্রতি প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে করা কিছু মন্তব্যের জন্য অনুশোচনা প্রকাশ করেছেন। মাস্কের এই মন্তব্য এবং এর প্রতিক্রিয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চলছে আলোচনা।

গত সপ্তাহে মাস্ক এবং ট্রাম্পের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাদানুবাদ হয়। মাস্ক একসময় ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন এবং তার সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদেও কাজ করেছেন। তবে তাদের মধ্যেকার সম্পর্ক এখন আগের মতো নেই।

মাস্ক, ট্রাম্পের কর হ্রাস নীতি এবং অভ্যন্তরীণ কিছু সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেন। এর প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্পও মাস্কের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন এবং তার কোম্পানির সরকারি চুক্তি বাতিল করার ইঙ্গিত দেন।

বিষয়টি আরও গুরুতর হয়ে ওঠে যখন মাস্ক, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কিছু গুরুতর অভিযোগ করেন। তিনি ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ের পেছনে নিজের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন এবং বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব জেফ্রি এপস্টাইনের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।

তবে মাস্ক তার দাবির স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ দেননি।

এই ঘটনার পর, মাস্ক তার কিছু বিতর্কিত পোস্ট মুছে ফেলেন এবং ট্রাম্পের প্রতি নরম সুর প্রদর্শন করেন। এমনকি তিনি বিলিয়নেয়ার বিনিয়োগকারী বিল অ্যাকম্যানের একটি পোস্টের সঙ্গে একমত হন, যেখানে মাস্ক এবং ট্রাম্পকে “শান্তি স্থাপনের” আহ্বান জানানো হয়েছিল।

মাস্ক অবশ্য এখনো পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে জানাননি যে তিনি তার কোন মন্তব্যগুলোর জন্য অনুতপ্ত।

অন্যদিকে, ট্রাম্পও মাস্কের বিষয়ে তার অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন যে, মাস্কের সঙ্গে তার সম্পর্ক ভালো নেই এবং আপাতত তিনি মাস্কের সঙ্গে কোনো বিষয়ে কথা বলতে চান না।

ট্রাম্প এক সাক্ষাৎকারে মাস্কের সমালোচনা করে বলেন, তিনি মাস্কের এমন আচরণের কারণ বুঝতে পারছেন না।

পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, মাস্ক এবং ট্রাম্পের এই বিরোধের কারণ হতে পারে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক স্বার্থ। মাস্কের কোম্পানিগুলোর ভবিষ্যৎ এবং ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের ওপর এর প্রভাব পড়তে পারে।

সম্প্রতি, মাস্কের বাবা এরল মাস্ক, এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে, তার ছেলে ট্রাম্পের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে ভুল করেছেন। তিনি আশা করেন, তারা দ্রুতই তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক করে তুলবেন।

এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে, প্রযুক্তি এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি নতুন মেরুকরণ সৃষ্টি হয়েছে। মাস্ক এবং ট্রাম্পের এই বিরোধ আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *