গ্রীষ্মের উৎসবে বিশ্ব: ঘুরে আসুন কিছু মনোমুগ্ধকর স্থান।
গ্রীষ্মকাল মানেই উৎসবের মরসুম। সারা বিশ্বজুড়ে এই সময়টাতে বিভিন্ন সংস্কৃতি তাদের ঐতিহ্য আর আনন্দ প্রকাশ করে নানা ধরনের উৎসবের মধ্যে দিয়ে। কোনোটা প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের উদযাপন, কোনোটা আবার লোককথার মোড়কে বাঁধা।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের একজন বিশেষজ্ঞের চোখে, গ্রীষ্মের সেরা কিছু উৎসবের গল্প নিয়ে আজকের এই প্রতিবেদন।
প্রথমেই আসা যাক সুইডেনের লেকসান্ডের মিডসামার উৎসবে। জুন মাসের ২১, ২২ অথবা ২৩ তারিখে এই উৎসব পালন করা হয়। স্থানীয়রা সাদা পোশাক পরে ফুল আর পাতার মুকুট পরে শহর থেকে “স্যামিলসডাল” নামক এক খোলা প্রান্তরে এসে জড়ো হয়।
তারা সবাই মিলে নাচের মধ্যে দিয়ে বছরের সবচেয়ে বড় দিনটিকে উদযাপন করে। সাথে চলে ঐতিহ্যবাহী খাবার আর পানীয়ের আয়োজন।
এরপরের গন্তব্য ইংল্যান্ডের গ্লাস্টনবেরি উৎসব। জুন মাসের শেষ সপ্তাহে এই উৎসব হয়। গান, নাচ আর প্রকৃতির এক অপূর্ব মেলবন্ধন দেখা যায় এখানে। উৎসবটি যেন প্রকৃতির কাছাকাছি আসার এক অন্যরকম অনুভূতি এনে দেয়।
ওমানের ধোফার অঞ্চলের খারিফ উৎসবও একটি বিশেষ আকর্ষণ। জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এই সময়ে মরুভূমি সবুজ হয়ে ওঠে। আকাশে ওড়ে বেলুন, চলে গান আর নাচের অনুষ্ঠান।
মাল্টার বুসকেট গার্ডেন্সে অনুষ্ঠিত হওয়া “ফেস্তা অফ মনারজা” উৎসবটিও কম আকর্ষণীয় নয়। ২৯শে জুন এই উৎসবে মধ্যযুগীয় পোশাকে সজ্জিত স্থানীয়রা ঐতিহ্যপূর্ণ খাবার পরিবেশন করে।
জাপানের “আবারে ফেস্টিভ্যাল” -এর কথা শুনলে হয়তো অনেকেই অবাক হবেন। জুলাই মাসের ৪ ও ৫ তারিখে অনুষ্ঠিত এই উৎসবে, সুন্দর কারুকার্য করা বিশাল আকারের লন্ঠন তৈরি করা হয়। উৎসবের এক পর্যায়ে মদ্যপ অবস্থায় কিছু লোক সেই লন্ঠনগুলো ভেঙে ফেলে।
সবশেষে আসা যাক থাইল্যান্ডের ফুকেট ভেজিটেরিয়ান ফেস্টিভ্যালে। এই উৎসবটি সাধারণত সেপ্টেম্বরের শেষ বা অক্টোবরের শুরুতে হয়। নিরামিষ খাবারের উৎসব হলেও, এখানে শরীরকে ক্ষত-বিক্ষত করার মতো কিছু আচার-অনুষ্ঠান দেখা যায়, যা সত্যিই অনেককে অবাক করে।
এগুলো ছাড়াও, সারা বিশ্বে গ্রীষ্মকালে আরও অনেক উৎসব হয়, যা বিভিন্ন সংস্কৃতির এক উজ্জ্বল প্রতিচ্ছবি। উৎসবগুলি শুধু আনন্দ উপভোগের মাধ্যম নয়, বরং একেকটি সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি, যা মানুষকে একতাবদ্ধ করে তোলে।
তথ্য সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক