ট্রাম্পের শুল্ক: এপ্রিল মাসে ব্রিটেনের অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা!

যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে এপ্রিল মাসে দেখা দেয় বড় ধরনের মন্দা। এই মন্দার পেছনে একটি প্রধান কারণ হিসেবে কাজ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নীতি।

সম্প্রতি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতির কারণে যুক্তরাজ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে।

সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এপ্রিল মাসে যুক্তরাজ্যের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ০.৩ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে, যা গত প্রায় দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় পতন। এর আগে মার্চ মাসে জিডিপি সামান্য বেড়েছিল ০.২ শতাংশ।

যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যমন্ত্রী র‍্যাচেল রিভস এই পরিস্থিতিকে ‘চ্যালেঞ্জিং মাস’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

তিনি জানান, শুল্ক নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে রপ্তানি এবং উৎপাদন দুটোই কমে গেছে।

এপ্রিল মাসে যুক্তরাজ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানির পরিমাণ প্রায় ২ বিলিয়ন পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকার বেশি) কমেছে, যা ১৯৯৭ সাল থেকে রেকর্ডData Not Found অনুযায়ী সবচেয়ে বড় পতন।

যুক্তরাষ্ট্রের এই শুল্ক নীতির কারণে যুক্তরাজ্য কিছুটা ক্ষতির শিকার হলেও, অন্যান্য দেশের তুলনায় তারা তুলনামূলকভাবে কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাজ্যের পণ্য আমদানিতে শুধু ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে এবং ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর শুল্ক বাতিল করতে রাজি হয়েছে।

বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই শুল্ক নীতি যুক্তরাজ্যের ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কেপিএমজি ইউকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ইয়েল সেলফিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে হওয়া চুক্তির ফলে ব্রিটিশ ব্যবসায়ীরা কিছুটা নীতিগত নিশ্চয়তা পেলেও, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে যুক্তরাজ্যের পণ্যের ওপর শুল্ক আগের চেয়ে বেশি রয়েছে।

এর ফলে আগামী দিনগুলোতে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এই ঘটনার মাধ্যমে বিশ্ব অর্থনীতির জটিলতা এবং বাণিজ্য সম্পর্কের ওপর শুল্ক নীতির প্রভাব সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য রপ্তানি বাজার এবং বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে সতর্ক থাকা জরুরি।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *