ট্রাম্পের চীন ‘চুক্তি’ আসলে কতটা বাস্তব? বিশ্ব অর্থনীতিতে এর প্রভাব
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন যে চীনের সঙ্গে তার বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। তবে এই চুক্তির বিস্তারিত এখনো প্রকাশ করা হয়নি এবং এটি চূড়ান্ত রূপ নিতে উভয় পক্ষের নেতাদের অনুমোদন প্রয়োজন।
এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে, এই ‘চুক্তি’ আসলে কতটা বাস্তব, এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে এর প্রভাব কী হতে পারে?
জানা গেছে, এই চুক্তির মূল বিষয়গুলো এখনো স্পষ্ট নয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এর মাধ্যমে চীন তাদের বিরল মৃত্তিকা খনিজ পদার্থের সরবরাহ অব্যাহত রাখতে পারবে, যা শিল্প ও প্রযুক্তির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনা শিক্ষার্থীদের তাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি অব্যাহত রাখতে রাজি হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই চুক্তিতে শুল্কের (ট্যারিফ) হার এখনো অনেক বেশি। সাধারণত, শুল্ক হলো আমদানি করা পণ্যের ওপর ধার্য করা কর।
এই চুক্তির ফলে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনো চীনের থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৩০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক ধার্য করবে। এর আগে, উভয় দেশের মধ্যে এমন একটি চুক্তি হয়েছিল, যা বেশি দিন টেকেনি।
বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে ট্রাম্পের এই ধরনের পদক্ষেপ নতুন নয়। প্রায়ই তিনি এমন পরিস্থিতি তৈরি করেন যেখানে প্রথমে অস্থিরতা দেখা যায়, এরপর তিনি আলোচনার মাধ্যমে একটি ‘চুক্তি’ করেন এবং নিজেকে সমস্যার সমাধানকারী হিসেবে তুলে ধরেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, বিশেষ করে লস অ্যাঞ্জেলেসে, ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে হওয়া প্রতিবাদগুলোও একইভাবে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিক্ষোভ দমনের জন্য তিনি সেখানে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেন, যা ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, ট্রাম্প সম্ভবত এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছেন, যেখানে তিনি ‘আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা’র কৃতিত্ব নিতে পারেন।
যদিও এই চুক্তির সরাসরি প্রভাব এখনো স্পষ্ট নয়, তবে বাণিজ্য উত্তেজনা বিশ্ব অর্থনীতিকে প্রভাবিত করতে পারে। বিশেষ করে, এই ধরনের পদক্ষেপ বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর আমদানি ও রপ্তানি বাজারেও পরোক্ষ প্রভাব ফেলতে পারে।
ভবিষ্যতে এই চুক্তির চূড়ান্ত রূপ কেমন হয়, সেদিকে নজর রাখা প্রয়োজন।
তথ্য সূত্র: সিএনএন