যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন বিষয়ক নীতি নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত মার্কিন জনতা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন বিষয়ক কঠোর পদক্ষেপগুলি নিয়ে দেশটির মানুষের মধ্যে এখনো পর্যন্ত সুস্পষ্ট কোনো ধারণা তৈরি হয়নি।
সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন অভিবাসন আইন আরও কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে শুরু করেছে, যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলেসে সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এবং বিভিন্ন শহরে চলছে ব্যাপক ধরপাকড়।
তবে, জনমনে এর প্রতিক্রিয়া মিশ্র। বিষয়টি নিয়ে জনগণের মনোভাব জানতে সম্প্রতি বিভিন্ন জরিপ চালানো হয়েছে।
এই জরিপগুলোতে দেখা যাচ্ছে, অনেকে ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করছেন, আবার অনেকে সমর্থন জানাচ্ছেন। অনেকে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি।
উদাহরণস্বরূপ, লস অ্যাঞ্জেলেসে সামরিক বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে, প্রায় ৪৪ শতাংশ মানুষ এর বিরোধিতা করেছেন, ৪১ শতাংশ সমর্থন করেছেন, এবং ১৫ শতাংশ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই বিভক্তির কারণ হলো, অভিবাসন ইস্যুটি যুক্তরাষ্ট্রে অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি বিষয়। ট্রাম্প প্রশাসন এই ধরপাকড় এবং অভিযানকে সমর্থন করে এটিকে দেশের নিরাপত্তা রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে তুলে ধরছে।
অন্যদিকে, সমালোচকরা বলছেন, অভিবাসীদের প্রতি এমন কঠোর মনোভাব মানবিক অধিকারের পরিপন্থী। তারা মনে করেন, এর ফলে সমাজে বিভেদ আরও বাড়বে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আরও বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসন বিক্ষোভকারীদের ‘ভাড়াটে গুণ্ডা’ হিসেবে চিহ্নিত করতে চাইছে। এমনকি বিক্ষোভ দমনে তারা ন্যাশনাল গার্ড ও মেরিনদেরও ব্যবহারের ইঙ্গিত দিয়েছেন।
যদিও এমন অভিযোগের পক্ষে এখনো পর্যন্ত কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এই পরিস্থিতিতে, বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে, সরকার কি অভিবাসন বিরোধী কঠোর পদক্ষেপের মাধ্যমে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছে?
অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, আগামী দিনে এই বিষয়গুলো দেশটির রাজনীতিতে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। কারণ, এর ওপর নির্ভর করছে জনগণের সমর্থন এবং প্রশাসনের ভবিষ্যৎ নীতি নির্ধারণ।
তথ্য সূত্র: সিএনএন